অবশেষে লঙ্কা দূর্গ জয়, ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ

Google Alert – বাংলাদেশ

অবশেষে লঙ্কা দূর্গ জয় করল বাংলাদেশ। গড়ল ইতিহাস। শ্রীলঙ্কার মাটিতে আরাধ্য সিরিজ জয়ের স্বাদ পেল টাইগাররা। সাকিব-মুশফিকরা যা পারেননি, তাই করে দেখাল লিটন বাহিনী।

তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম দু’ ম্যাচ শেষ হয় ১-১ সমতায়। শেষ ম্যাচটা তাই রূপ নেয় অলিখিত ফাইনালে। যেখানে শেষ হাসি হাসল বাংলাদেশ, স্বাগতিক শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে ৮ উইকেটে।

কলম্বোতে বুধবার (১৬ জুলাই) টসে জিতে আগে ব্যাট করে শ্রীলঙ্কা। তবে সুবিধা কর‍তে পারেনি, ৭ উইকেটে করে ১৩২ রান। যা তামিমের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে ১৬.৩ ওভারেই পেরিয়ে গেছে বাংলাদেশ।

আরব আমিরাতের কাছে সিরিজ হার, পাকিস্তানের কাছে ধবলধোলাই; অবশেষে ঘুরে দাঁড়াল বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে পাঁচ সিরিজ পর সিরিজ জয়ের স্বাদ পেল টাইগাররা।

১৩৩ রানের লক্ষ্য, আধুনিক ক্রিকেটে সহজই বটে। তবে তাড়া করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই পারভেজ ইমনকে হারিয়ে ধাক্কা খায় টাইগাররা। ০ রানে উদ্বোধনী ভাঙে উদ্বোধনী জুটি।

তবে শুরুর ধাক্কা সামলে সহজেই ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। পথ দেখান লিটন দাস। আগের ম্যাচের জয়ের নায়ক আজো জ্বলে ওঠেন। সাথে হাল ধরেন তানজিদ তামিম, থামেন জয় নিশ্চিত করেই।

দু’জনে গড়ে তুলেন দারুণ জুটি। পাওয়ার প্লেতে আর কোনো উইকেট হারাতে না দিয়েই যোগ করেন ৪৭ রান। জুটি ভাঙে ৮.৩ ওভারে ৭৪ রানে। লিটন ফিরেন সুইপ খেলতে গিয়ে ২৬ বলে ৩২ রানে।

তবে আর বিপদ আসতে দেননি তামিম। হৃদয়কে নিয়ে অবিচ্ছিন্ন ৪৮ বলে ৫৯ জুটি গড়ে নিশ্চিত করেন জয়। তামিম তুলে নেন ক্যারিয়ারের পঞ্চম ফিফটি, অপরাজিত থাকেন ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস নিয়ে।

এক চার ও পাঁচ ছক্কায় তামিম করেন ৪৭ বলে ৭৩ রান। তাওহীদ হৃদয় অপরাজিত থাকেন ২৫ বলে ২৭ রানে। তাতে জিতে যায় বাংলাদেশ, ২-১ ব্যবধানে নিশ্চিত করে সিরিজ।

শ্রীলঙ্কার মাটিতে যেকোনো ফরম্যাটে এই প্রথম কোনো সিরিজ জিতল টাইগাররা, একইসাথে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দেশ বা বিদেশে টি-টোয়েন্টিতে যা বাংলাদেশের প্রথম কোনো সিরিজ জয়।

জয়ের ভিত গড়ে দেন অবশ্য বোলাররাই, সহজ করে বললে শেখ মেহেদী। প্রথম দু’ ম্যাচে একাদশে জায়গা পাননি। আজ সুযোগ পেয়েই নিজেকে চেনান। ৪ ওভারে ১ মেইডেনসহ মাত্র ১১ রান দিয়ে শিকার করেন ৪ উইকেট।

অবশ্য বল হাতে প্রথম ৫ বলেই ১৪ রান হজম করে দল। তবে শেষ বলটা আসে বাংলাদেশের পক্ষে, ভয়ঙ্কর হয়ে উঠার আগেই কুশল মেন্ডিসের উইকেট তুলে নেন শরিফুল।

৪ বলে ৬ করে তাওহীদ হৃদয়কে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মেন্ডিস। এরপর তিনে আসেন কুশাল পেরেরা। তবে তাকে থিতু হতে দেননি শেখ মেহেদী। স্লিপে ক্যাচ বানিয়ে ফেরান প্রথম বলেই।

১.৫ ওভারে ১৯ রানে ২ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। তৃতীয় উইকেটের পতন হয় ৪.৩ ওভারে ৩৪ রানে৷ দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা দীনেশ চান্দিমালকেও (৪) ফেরান শেখ মেহেদী।

৮ম ওভারে চারিথ আসালাঙ্কাকে বোল্ড করে (৩) ফেরান মেহেদী। আর পরের ওভারে এসে মেহেদী ফেরান থিতু হয়ে যাওয়া পাথুম নিশানকাকে। ৩৯ বলে ৪৬ করে মেহেদীকেই ক্যাচ দেন তিনি।

কামিন্দু মেন্ডিস এরপর মাথাচাড়া দিয়ে উঠার চেষ্টা করেন, যদিও তাকে সুযোগ দেননি শামীম পাটোয়ারী। ১৫ বলে ২১ করেন কামিন্দু। ১৩.১ ওভারে ৮৮ রানে ৬ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা।

সপ্তম উইকেটটা নেন মোস্তাফিজ, ১৭তম ওভারের শেষ বলে ফেরান জেফরে ভেন্ডারসেকে (৭)। তবে শেষ ওভারে তাণ্ডব চালান দাসুন শানাকা। শরিফুলের ওভারে নেন দু’টি করে চার-ছক্কায় ২২ রান।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *