Bangla News
ময়লা পরিষ্কার ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
ঢাকা: আফতাব নগর থেকে বনশ্রী যাওয়া-আসার জন্য প্রধান সড়ক ছাড়া বিকল্প কোনো মাধ্যম নেই। তাই এলাকাবাসীর সুবিধার্থে এ নড়াই নদীর ওপর কমপক্ষে দুইটি সেতু নির্মাণ করে দেওয়া হবে যা এ দুই আবাসিক এলাকার মধ্যে সহজ ও সরাসরি সংযোগ স্থাপন করবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
শনিবার (২৯ জুলাই) ঢাকার বনশ্রীতে ডিএনসিসির সার্বিক সহযোগিতায় এবং সমমনা পরিষদ, বনশ্রীর উদ্যোগে বনশ্রী খালপাড় (নড়াই নদী) এলাকায় ‘ময়লা পরিষ্কার ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা জানান।
ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, এ সেতুর নাম হবে ‘নড়াই সেতু’। যে খালটিকে আমরা আজ বনশ্রী খাল নামে চিনি, আশির দশকেও এটি ছিল প্রবাহমান নড়াই নদী। অবৈধ দখলের মাধ্যমে নদীর প্রবাহ রুদ্ধ করে একে খালে রূপান্তর করা হয়। আমাদের উদ্যোগে পানি উন্নয়ন বোর্ড ইতোমধ্যে একে পুনরায় ‘নড়াই নদী’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।
তিনি বলেন, এ নদী রক্ষা করতে পারলে ভবিষ্যতে রামপুরা থেকে নৌপথে শীতলক্ষ্যা, ধলেশ্বরী ও বালু নদী হয়ে সদরঘাট ও মিরপুর পর্যন্ত যাত্রী পরিবহন চালু করার সম্ভাবনা তৈরি হবে।
তিনি আরও বলেন, গুলশান, বনানী ও বারিধারা লেকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় একটি মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের কাজ চলছে।
ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, চাঁদাবাজ সিন্ডিকেটের কারণে ঢাকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং ফুটপাতগুলো দখলমুক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। পরিবেশ সুরক্ষায় নাগরিক অংশগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শহর আমাদের সবার, এর সৌন্দর্য ও স্বাস্থ্য আমাদেরই রক্ষা করতে হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সমমনা পরিষদ, বনশ্রীর সভাপতি মো. শাহবুদ্দিন শিকদার। কর্মসূচির অংশ হিসেবে বনশ্রীর নানজিং কমিউনিটি সেন্টার থেকে শুরু করে খালপাড় এলাকায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করা হয় এবং বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপণ করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দা, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতা বিভাগ এ কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে।
এমএমআই/আরআইএস
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।