আব্রাহাম চুক্তিতে যোগদানের সম্ভাবনা নাকচ করল পাকিস্তান

Google Alert – সেনাপ্রধান

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার শুক্রবার স্পষ্ট জানিয়েছেন, পাকিস্তানের আব্রাহাম চুক্তিতে যোগদানের কোনো সম্ভাবনা নেই। তিনি বলেছেন, এমন কোনো পদক্ষেপ নিলে তা ফিলিস্তিন ইস্যুতে পাকিস্তানের দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান ও ইসরাইলকে স্বীকৃতি না দেওয়ার দীর্ঘদিনের নীতির পরিপন্থি হবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইসহাক দার স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে পাকিস্তানের দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।

সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ মন্তব্য করেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের উদ্দেশ্যে গঠিত আব্রাহাম চুক্তিতে কিছু নতুন দেশ শিগগিরই যোগ দিতে পারে। পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেওয়ার পর উইটকফ এ মন্তব্য করেছিলেন।

সোমবার (৩০ ‍জুন) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে সামা টিভি।

এ প্রসঙ্গে দার বলেন, ‘ফিলিস্তিন সংকটের দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান মেনে নেওয়া না হলে আমরা ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত নই। ফিলিস্তিন ইস্যুতে আমাদের নীতিতে কোনো পরিবর্তন হয়নি।’

তিনি আরও বলেন, আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দিলে তা হবে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে ১৯৬৭ সালের পূর্বসীমান্তের ভিত্তিতে সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের পাকিস্তানের দীর্ঘদিনের দাবিকে ত্যাগ করার নামান্তর। ‘সবার কাছে স্পষ্ট করে দিচ্ছি, আমাদের সাত দশকের পুরনো নীতি অপরিবর্তিত রয়েছে,’ বলেন ইসহাক দার।

এদিকে আব্রাহাম চুক্তি নিয়ে যদি পাকিস্তানের ওপর কোনো চাপ সৃষ্টি করা হয়, তাহলপাকিস্তান জাতীয় স্বার্থকেই প্রাধান্য দেবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ।

সামা টিভির ‘নাদিম মালিক লাইভ’ অনুষ্ঠানে এক তীব্র সাক্ষাৎকারে তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, পাকিস্তানের ওপর শিগগিরই আব্রাহাম চুক্তিতে যোগদানের জন্য চাপ আসতে পারে—এ নিয়ে রিপোর্ট নিয়ে তার মত কী। এর জবাবে আসিফ বলেন, ‘চাপ এলে তখন দেখা যাবে।’ তিনি জানান, এ বিষয়ে সরকারের ভেতরে আলোচনা চলছে।

খাজা আসিফ বলেন, ‘যখন আমাদের এই চুক্তিতে অংশ নিতে বলা হবে, তখনই আমরা জবাব দেব। আব্রাহাম চুক্তি নিয়ে যদি কোনো চাপ আসে, আমরা আমাদের স্বার্থ দেখব।’ তিনি আরও বলেন, ‘পাকিস্তানের স্বার্থের ক্ষতি করে এমন কোনো মার্কিন নীতির অংশ আমরা হব না।’

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *