আমাদের ২ দেশের সম্পর্ক গড়ে উঠছে হাতে হাত ধরে, হৃদয়ে হৃদয় দিয়ে

Google Alert – আর্মি

বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন বলেছেন, ‘আমাদের দুই মহান দেশের সম্পর্ক গড়ে উঠছে বাংলাদেশী থেকে আমেরিকান, এক একজন মানুষের মাধ্যমে-হাতে হাত ধরে, হৃদয়ে হৃদয় দিয়ে।’

আজ বুধবার সকালে সিলেটের জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্টে ‘কাউন্টার টেররিজম, শান্তিরক্ষা, জঙ্গলে অপারেশন, বিস্ফোরক’ বিষয়ে বাংলাদেশ ও ইউএস আর্মির যৌথ প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, এই মহড়া বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতিশীল সহযোগিতার প্রতীক। এটি বঙ্গোপসাগর ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নিরাপত্তা, শান্তি ও সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠায় দু’দেশের অভিন্ন লক্ষ্যকে প্রতিনিধিত্ব করে। এই মহড়ার মাধ্যমে মার্কিন সেনারা বিশ্বজুড়ে শান্তিরক্ষায় খ্যাত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাথে প্রশিক্ষণের সুযোগ পেয়েছে।

জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশ সবসময় শান্তিরক্ষী পাঠানোয় বিশ্বের শীর্ষ তিন দেশের মধ্যে থাকে এবং মানের দিক থেকেও শীর্ষস্থান ধরে রাখে। বর্তমানে এসব মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রায় আঠারো শ’ নারী সদস্য কাজ করছেন।’

‘টাইগার লাইটনিং’ একটি ধারাবাহিক যৌথ মহড়া উল্লেখ করে তিনি জানান, বর্তমানে ‘টাইগার শার্ক’ নামে আরো একটি মহড়া চলছে, যেখানে স্পেশাল ফোর্সের সাথে নৌ-বাহিনী অংশ নিচ্ছে। এ বছরের শেষদিকে বিমান বাহিনীর সাথে ‘প্যাসিফিক অ্যাঞ্জেল’ মহড়া অনুষ্ঠিত হবে।

এই মহড়ায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্যারা-কমান্ডো ইউনিটের ১০০ জন এবং ইউএস আর্মির অধীনস্থ নেভাদা ন্যাশনাল গার্ডের ৬৬ জন সদস্য অংশ নেন।

সমাপনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল এ এস এম রিদওয়ানুর রহমান।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন প্যারা-কমান্ডো ব্রিগেডের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল হাসান। এরপর প্রশিক্ষণভিত্তিক তথ্যচিত্র ‘অপারেশন টাইগার লাইটস’ প্রদর্শন করা হয়। পরে অংশগ্রহণকারী সেনাদের মধ্যে সনদ বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন ইউএস মেজর উইস্টিসেন ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর মাহমুদুল হাসান। শেষে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ফটোসেশনে অংশ নেন এবং পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *