ইউক্রেনকে কিছু অস্ত্র সরবরাহ স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র

Google Alert – সশস্ত্র

রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে কিছু অস্ত্র সরবরাহ আপাতত স্থগিত করেছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র আনা কেলি জানান, আমেরিকার স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের (পেন্টাগন) একটি পর্যালোচনার ফল, যেখানে অন্যান্য দেশগুলোর প্রতি সামরিক সহায়তা ও সমর্থন মূল্যায়ন করা হয়েছে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে পূর্ণাঙ্গ আক্রমণ শুরু করার পর থেকে ওয়াশিংটন কিয়েভকে কয়েক বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা পাঠিয়েছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ট্রাম্প প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা এই সহায়তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন—তাদের মতে, এতে মার্কিন অস্ত্র মজুত বিপজ্জনকভাবে হ্রাস পাচ্ছে।

আরও পড়ুন>

যুক্তরাষ্ট্র তাৎক্ষণিকভাবে জানায়নি কোন ধরনের অস্ত্র পাঠানো স্থগিত হয়েছে। তবে রয়টার্স জানিয়েছে, এতে আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ও নির্ভুল হামলার অস্ত্র অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।

সিবিএস নিউজ এক মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে জানিয়েছে, অস্ত্র সরবরাহ স্থগিতের মূল কারণ হলো—যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র মজুত ‘খুব নিচে নেমে এসেছে’ বলে আশঙ্কা।

হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র আনা কেলি বলেন, আমেরিকার সশস্ত্র বাহিনীর শক্তি প্রশ্নাতীত। গত মাসে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার কথা স্মরণ করিয়ে দেন।

সম্প্রতি নেদারল্যান্ডসে ন্যাটো সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে বৈঠক হয়। তখন ট্রাম্প বলেছিলেন, আমরা দেখছি কিছু অস্ত্র দেওয়া সম্ভব কি না।

তবে এর আগে মার্চ মাসে হোয়াইট হাউজে ট্রাম্প ও জেলেনস্কির মধ্যে উত্তপ্ত আলোচনা হয়, যেখানে ট্রাম্প পূর্ববর্তী বাইডেন প্রশাসনের বরাদ্দ করা সামরিক সহায়তা সাময়িকভাবে স্থগিত করেন। এমনকি তখন ইউক্রেনের সঙ্গে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়ও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, যদিও পরে তা পুনরায় চালু হয়।

এপ্রিলের শেষ দিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়, যাতে ইউক্রেনের খনিজ সম্পদের অ্যাক্সেসের বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র সামরিক সহায়তা দেওয়ার কথা বলে।

যুক্তরাষ্ট্রের এই নতুন সহায়তা স্থগিতকরণ ইউক্রেনের পক্ষে আরও চাপের সৃষ্টি করেছে। ইউক্রেন সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।

সূত্র: বিবিসি

এমএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *