Google Alert – আর্মি
যুক্তরাষ্ট্রের চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইন্টেলের প্রধান নির্বাহী লিপ-বু টানের পদত্যাগ চান দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে এমন মন্তব্য করেন রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প। খবর বিবিসি।
চীনা কোম্পানির সঙ্গে টানের যোগসূত্রের কথা তুলে ধরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, লিপ-বু টান ‘মারাত্মক স্বার্থ সংঘাতে জড়িত’।
চীনা সামরিকসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে লিপ-বু টানের বিনিয়োগের খবরের ভিত্তিতে ট্রাম্প এ কথা বলেছেন বলে ধারণা করছেন অনেকে। যদিও আমেরিকানদের জন্য চীনা কোম্পানিতে বিনিয়োগ করা অবৈধ নয়। এছাড়া একজন করপোরেট নির্বাহীকে সরাসরি পদত্যাগের আহ্বান জানানো একজন প্রেসিডেন্টের জন্য খুবই বিরল ঘটনা।
রয়টার্সের এপ্রিলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, লিপ-বু টান নিজে এবং তার পরিচালিত ভেঞ্চার ফান্ডগুলোর (বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান) মাধ্যমে ২০১২ সালের মার্চ থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে চীনের কিছু প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করেছেন। এসব প্রতিষ্ঠান চীনের সামরিক বাহিনী বা পিপলস লিবারেশন আর্মির কন্ট্রাক্টর ও সরবরাহকারী হিসেবে কাজ করে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘ইন্টেলের সিইওর কার্যকলাপে মারাত্মক স্বার্থ সংঘাতের (কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট) বিষয়টি উঠে এসেছে এবং তাকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। এ সমস্যার অন্য কোনো সমাধান নেই।’
ট্রাম্পের পোস্টের পরিপ্রেক্ষিতে লিপ-বু টান বলেন, ‘গত ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রযুক্তি খাতে কাজ করছি। বিভিন্ন দেশের ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পর্ক গড়েছি। এ দীর্ঘ সময়ে আমি সবসময় আইনের ভেতরে থেকে এবং নৈতিকতার সর্বোচ্চ মান বজায় রেখেই কাজ চালিয়ে গেছি।’
এছাড়া ইন্টেল কর্তৃপক্ষ নতুন সিইও লিপ-বু টানের পক্ষে অবস্থান জানিয়েছে, তিনি এবং প্রতিষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রতি গভীরভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ইন্টেল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বিনিয়োগ করছে কোম্পানিটি। পাশাপাশি ইন্টেল, পরিচালনা পরিষদ এবং সিইও লিপ-বু টান যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা জোরদারে দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বিবিসির প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, চিপ ব্যবসায় পিছিয়ে পড়া ইন্টেলের হাল ধরতে ও প্রতিষ্ঠানকে নড়বড়ে অবস্থান থেকে ফিরিয়ে আনতে চলতি বছরের মার্চে লিপ-বু টান প্রধান নির্বাহী হিসেবে নিয়োগ পান। একসময় যুক্তরাষ্ট্রের সেমিকন্ডাক্টর খাতে পথপ্রদর্শক হলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোয় প্রতিযোগীদের সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না ইন্টেল। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের চিপ উৎপাদন খাত পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি সরকার থেকে এরই মধ্যে কয়েক বিলিয়ন ডলার সহায়তাও পেয়েছে।
এদিকে ইন্টেলের সিইও বিষয়ে ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের পর গতকাল ইন্টেলের শেয়ারদরে পতন ঘটেছে।