Google Alert – সামরিক
ইয়েমেনি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সানার আকাশে বহু ইসরাইলি আক্রমণ প্রতিহত করেছে বলে জানিয়েছে একটি ইয়েমেনি নিরাপত্তা সূত্র। বৃহস্পতিবার পশ্চিম এশিয়ার একটি গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় বার্তা সংস্থা মেহের।
হিজবুল্লাহ নিয়ন্ত্রিত লেবাননের গণমাধ্যম আল-মায়াদিন টিভি-কে ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনীর ওই সূত্রটি জানান, ইয়েমেনি বিমান প্রতিরক্ষা সানা শহরের ওপর ইসরাইলি বাহিনীর ব্যাপক বিমান হামলা সফলভাবে ঠেকাতে সক্ষম হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার ইসরাইলি সেনারা ২০টি যুদ্ধবিমান নিয়ে সানার দক্ষিণে বিভিন্ন এলাকায় নতুন করে বিমান হামলা চালায়। তবে স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, শহরে মাত্র ১২টি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
সূত্রটি জোর দিয়ে জানায়, ইয়েমেনি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা একাধিক স্তরের প্রতিরক্ষা প্রস্তুতির মাধ্যমে শত্রু যুদ্ধবিমানের কয়েকটি দলকে প্রতিহত করে এবং তাদেরকে বোমাবর্ষণের আগেই সানার আকাশ ছেড়ে যেতে বাধ্য করে।
তিনি আরও জানান, এই অভিযানে অন্তত ২০টি যুদ্ধবিমান ব্যবহারের পাশাপাশি জাহাজ থেকেও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইসরাইল।
এই ইয়েমেনি সামরিক সূত্র অনুযায়ী, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অধিকাংশ আক্রমণ ব্যর্থ করে দেয় এবং ইসরাইলি বাহিনী তাদের লক্ষ্য পূরণে সক্ষম হয়নি।
অন্যদিকে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, ইসরাইলি যুদ্ধবিমান প্রথমে সানার উত্তর-পশ্চিমে ১০ কিমি দূরে অবস্থিত ধাহাবানের বিদ্যুৎকেন্দ্র লক্ষ্যবস্তু করে এবং পরে আল-রাক্কাস স্ট্রিটের মোঈন ও সাবেইন জেলায় আবাসিক এলাকা টার্গেট করে। একই জেলায় আরও কয়েকবার বিমান হামলা চালানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং আবাসিক ঘরবাড়িতে গুরুতর ক্ষয়ক্ষতি হয়। যদিও হতাহতের আনুষ্ঠানিক সংখ্যা এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
ইয়েমেনের হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, ইসরাইলি বিমান হামলায় অন্তত ৮ জন বেসামরিক নিহত এবং ৪৮ জন আহত হয়েছে। তবে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
অন্যদিকে, ইসরাইলি চ্যানেল ১২ হামলার পর জানায়, ‘এখনো পর্যন্ত কেউ তাদের (ইয়েমেনিদের) পরাজিত করতে সক্ষম হয়নি। ইয়েমেনিদের বিরুদ্ধে শক্তির ভারসাম্য ভাঙা সম্ভব নয়। আমরা একটি ক্ষয়যুদ্ধের মুখোমুখি’।