Google Alert – সামরিক
অভিনব কায়দায় গাজায় ধ্বংসযজ্ঞের মাত্রা বাড়িয়ে চলেছে ইসরায়েল। সামরিক বাহিনীর পাশাপাশি লোভনীয় পারিশ্রমিকের বিনিময়ে চুক্তি করা হচ্ছে ইসরায়েলের বেসামরিক ঠিকাদারদের সঙ্গে। অধিক সংখ্যক ভারী যন্ত্রপাতি ও বুলডোজার থাকলেই মিলছে বাজার দরের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি মজুরি। জাতিসংঘ বলছে, ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজার ৯২ শতাংশ বাড়িঘর ধ্বংস হওয়ায় উপত্যকাটিতে জমা হওয়া ধ্বংসস্তূপের পরিমাণ প্রায় ৫ কোটি টন।
গাজা উপত্যকায় বালুর আস্তরণে ঢাকা পড়েছে মাইলের পর মাইল। জ্বলজ্যান্ত এক জনপদ আজ চাপা পড়েছে ইসরায়েলের বুলডোজার আর ভারী যন্ত্রাংশের তাণ্ডবের নিচে। আগ্রাসনের শুরু থেকেই গাজাবাসীর ঘর-বাড়ি ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো ধ্বংসের উন্মাদনায় মেতে ওঠে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
সম্প্রতি ইসরায়েল বাণিজ্যিক পত্রিকা দ্য মার্কারের বরাতে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছে মিডিল ইস্ট আই। সেখানে বলা হয়, ইসরায়েলের বেসরকারি ঠিকাদারদের লোভনীয় পারিশ্রমিকের বিনিময়ে গাজায় নিতে প্রচারণা চালাচ্ছে আইডিএফ। শর্ত হলো ভালো মানের বুলডোজার ও অন্যান্য ভারী যন্ত্রপাতি থাকতে হবে কন্ট্রাকটারদের। উদ্দেশ্য, গাজায় উচ্ছেদ অভিযানের মাত্রা আরও বাড়ানো।
দ্য মার্কারের তথ্য অনুযায়ী, চুক্তিবদ্ধ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রতিদিন ১৫শ’ ডলার পারিশ্রমিক দিচ্ছে আইডিএফ। ফলে দিনে একজন অভিজ্ঞ ভারী যন্ত্র চালকের আয় হতে পারে ৩শ’ ডলার পর্যন্ত। আইডিএফ এর সাথে দর কষাকষি করারও সুযোগ আছে ঠিকাদারদের।
বিল্ডিং এর উচ্চতার উপর ভিত্তি করে কম-বেশি হয় শ্রমিকদের মজুরি। একটি তিন তলা ভবন গুঁড়িয়ে দেয়ার বিনিময়ে মজুরি পাওয়া যায় ৭৫০ ডলার। এর দ্বিগুন মূল্য পেতে হলে ভাঙতে হবে বহুতল ভবন।
বেশি বেশি ঠিকাদারদের সন্ধানে অনলাইন বিজ্ঞাপনের হার কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও দাবি করেছে মিডল ইস্ট আই। লোভনীয় প্রস্তাব লুফে নেয়া কন্ট্রাকটারদের সংখ্যাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুযায়ী গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত পর্যন্ত আংশিক ও পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে ৯২ শতাংশ বাড়িঘর। ৩৬০ বর্গ কিলোমিটারের উপত্যকাটিতে জমা হয়েছে প্রায় ৫ কোটি টন ধ্বংসস্তূপ। যা পুরোপুরি অপসারণে লেগে যাবে কয়েক দশক।
/এমএইচআর