Jamuna Television
ছবি: সংগৃহীত
ইসরায়েলের সাথে সকল প্রকার সামরিক সরঞ্জাম আমদানি-রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে স্লোভেনিয়া। এই প্রথম ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোনো দেশ তেলআবিবের বিরুদ্ধে এমন কঠোর কোনো সিদ্ধান্ত নিতে দেখা গেল। যদিও, ইসরায়েলের সাথে অস্ত্র বাণিজ্যের ইতিহাস নেই দেশটির। খবর, আল জাজিরার।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) এ নিষেধাজ্ঞা জারি করে স্লোভেনিয়া। মূলত, গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যা বন্ধে এভাবেই প্রতিবাদ জানিয়েছে মধ্য ইউরোপের এই ছোট্ট দেশটি।

বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অস্ত্র রফতানিকারক দেশ হওয়া সত্ত্বেও অন্যান্য দেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র কেনে ইসরায়েল। বিশেষ করে যুদ্ধবিমান, স্বয়ংক্রিয় বোমা আর মিসাইলসহ বেশকিছু সামরিক সরঞ্জামের ক্ষেত্রে পশ্চিমা মিত্রদের উপর অনেকাংশেই নির্ভরশীল তেলআবিব। এ তালিকায় সবচেয়ে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিবছর ইসরায়েলকে কমপক্ষে ৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা প্রদান করে ওয়াশিংটন। এরপরই রয়েছে জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও ইতালির মতো ইউরোপের দেশগুলো।
তবে, ইসরায়েলে সামরিক অস্ত্র রপ্তানির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে মধ্য ইউরোপের ছোট্ট দেশ স্লোভানিয়া। সম্প্রতি, ইসরায়েলের সাথে সকল প্রকার সামরিক অস্ত্র কেনা-বেচায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দেশটি। দেশটির সীমানা ব্যবহার করে তেলআবিবকে অস্ত্র সহায়তাও দিতে পারবে না অন্যকোনো দেশ।
ইসরায়েলের অস্ত্র বাণিজ্যের ইতিহাস নেই স্লোভানিয়ার। তবুও ইউরোপীয় ইউনিয়ানের মধ্যে প্রথম কোনো দেশ হিসেবে এমন সাহসী কোনো পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটি। গাজায় নির্বিচার গণহত্যার প্রতিবাদেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন স্লোভানিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট গলোব। ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোকে ইসরায়েলকে অস্ত্র সহায়তা বন্ধের বার্তা দিতেই নেওয়া হয়েছে এমন সিদ্ধান্ত।
স্লোভানিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট গলোব বলেন, প্রতিষ্ঠানিকভাবে গাজায় ত্রাণ প্রবেশ বন্ধ রাখা হয়েছে। পানি, খাদ্য আর চিকিৎসার অভাবে মারা যাচ্ছে গাজা উপত্যকার মানুষ। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে প্রাণ হারাচ্ছে। তবুও, অভ্যন্তরীন মতভেদ আর সমন্বয়ের অভাবে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন তাদের দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হচ্ছে।
গেল বছর যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও বেলজিয়ামের মতো কিছু দেশ সীমিত পরিসরে ইসরায়েলের সাথে অস্ত্র বেচা-কেনা বন্ধ ঘোষণা করলেও দেয়নি সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা।
/এমএইচআর