The Daily Ittefaq
গ্রিস থেকে গাজার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছে একটি আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তা বহর, যার লক্ষ্য ইসরায়েলের নৌ অবরোধ ভেঙে যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া।
‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ নামের এই বহরে প্রায় ৫০টি বেসামরিক নৌযান অংশ নিয়েছে। এতে রয়েছেন আইনজীবী, সংসদ সদস্য, মানবাধিকারকর্মীসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নাগরিক। বহরের অন্যতম মুখ হিসেবে আছেন সুইডিশ জলবায়ুকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ।
ইসরায়েল এই উদ্যোগকে ‘হামাসকে সহযোগিতা করার প্রচেষ্টা’ বলে দাবি করেছে এবং স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, এই বহরকে গাজার উপকূলে পৌঁছাতে দেওয়া হবে না। গত সপ্তাহে বহরের কিছু নৌযানে ড্রোন হামলার অভিযোগ উঠলেও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এরপর থেকেই ইউরোপজুড়ে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়।
ঘটনার পর ইতালি ও স্পেন তাদের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সক্রিয় হয়েছে: ইতালির প্রতিরক্ষামন্ত্রী গুইদো ক্রোসেত্তো জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী মেলোনির সঙ্গে আলোচনা শেষে ওই এলাকায় ফ্রিগেট ‘ফাসান’ মোতায়েন করা হয়েছে। স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ ঘোষণা দিয়েছেন, স্পেনও উদ্ধার বা সহায়তা কার্যক্রমে টহল জাহাজ পাঠাবে।
গ্রিস সরকার জানিয়েছে, তারা তাদের জলসীমা পর্যন্ত এই নৌবহরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। তবে শুক্রবার থেকে বহরটি আন্তর্জাতিক জলসীমায় প্রবেশ করেছে। আয়োজকদের পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী সপ্তাহের শুরুতে গাজার উপকূলে পৌঁছানোর চেষ্টা করবে নৌবহরটি।
জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা গাজার পরিস্থিতিকে ‘মানবিক বিপর্যয়’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে কিছু এলাকায় ‘দুর্ভিক্ষ’ পরিস্থিতিও ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ এনে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে তদন্তের দাবিও উঠেছে।