ইসিকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের চিঠি

Google Alert – প্রধান উপদেষ্টা

আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে রোজার আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশনকে পত্র (চিঠি) দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। এর মাধ্যমে নির্বাচন আয়োজনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হলো। বুধবার নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব বরাবর এই চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে। চিঠিতে উল্লিখিত সময়ে প্রত্যাশিত মানের অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া।

আগের দিন মঙ্গলবার জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবসে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। সেখানে আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে রোজা শুরুর আগে নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেওয়ার কথা বলেন। এরই ধারাবাহিকতায় এই চিঠি পাঠাল প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। চিঠিতে প্রধান উপদেষ্টার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণের কথা উল্লেখ করে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা তার ভাষণে অবিলম্বে এক্ষেত্রে সব প্রস্তুতি ও প্রাতিষ্ঠানিক আয়োজন শুরুর কথা বলেছেন। বিগত পনেরো বছরে নাগরিকদের ভোট দিতে না পারার প্রেক্ষাপটে আগামী নির্বাচন যেন মহা-আনন্দের ভোট উৎসবের দিন হিসাবে স্মরণীয় হয়, তেমন আয়োজনের ওপর প্রধান উপদেষ্টা জোর দিয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়।

প্রধান উপদেষ্টা তার ভাষণে নির্বাচন আনন্দ-উৎসবে, শান্তি-শৃঙ্খলায়, ভোটার উপস্থিতিতে, সৌহার্দ ও আন্তরিকতায় অবিস্মরণীয় হয়ে ওঠার যে প্রত্যাশা করেছেন তা উল্লেখ করা হয়। নির্বাচন আয়োজনে যথোপযুক্ত প্রযুক্তি ব্যবহারের গুরুত্বারোপের পাশাপাশি একটি প্রত্যাশিত সুষ্ঠু, অবাধ, শান্তিপূর্ণ, উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনে সরকারের সর্বাত্মক সহযোগিতার প্রত্যয়ের কথাও নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়। শেষে প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণার ভিত্তিতে উল্লিখিত সময়ে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের অনুরোধ করেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেয় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। এরপর থেকেই যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন আয়োজনের তাগিদ দিয়ে আসছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। ১৩ জুন লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক হয়। ওই বৈঠক শেষে যৌথ বিবৃতিতে ঘোষণা আসে, সব প্রস্তুতি শেষ হলে আগামী রমজানের আগে অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন হতে পারে।

এরপর ২৬ জুন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ান বৈঠক করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন। ধারণা করা হচ্ছে, ওই বৈঠকে নির্বাচনের তারিখ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পরবর্তীতে ২৬ জুলাই ১৪টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকে ড. ইউনূস জানান, কয়েক দিনের মধ্যেই তিনি নির্বাচনের সময় ঘোষণা করবেন। দুদিন পর ২৮ জুলাই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা। সেখানে বাহিনীগুলোকে প্রস্তুতির জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *