Google Alert – পার্বত্য অঞ্চল

বুইন্ডি জাতীয় উদ্যান বিশ্বের মাত্র দুটি জায়গার মধ্যে একটি যেখানে পাহাড়ি গরিলা দেখা যায়৷ মাত্র কয়েক দশক আগে এটি বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে ছিল, যার একটি কারণ ছিল অবৈধ শিকার

পিটার টুমওয়েসিগিয়ে আগে একজন গরিলা শিকারি ছিলেন৷ একসময় তিনি বুঝতে পারেন এটি ঠিক নয়৷ এরপর তিনি বিপন্ন এই প্রাণীদের সংরক্ষণ, সহাবস্থান এবং তাদের জীবনযাপন উন্নত করার জন্য নিবেদিত সাবেক শিকারিদের এক দলে যোগ দেন৷ তিনি বলেন, ‘‘সাবেক শিকারি হিসেবে আমরা এই পার্কের যত্ন নিই, কারণ, এটি আমাদের আয়ের ব্যবস্থা করে৷ আমাদের কর্মসংস্থান হয় এবং আমরা আর্থিকভাবে লাভবান হই৷ দর্শনার্থী এবং পর্যটকেরা পার্কে আসেন এবং দেশ আর্থিকভাবে উপকৃত হয়৷ আয় ভাগাভাগি করার কারণে আমাদের বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারে৷ আমাদের হাসপাতাল এবং রাস্তার অবকাঠামো উন্নত হয়েছে৷ আমি যখন চোরাশিকারি ছিলাম তার তুলনায় আমরা এখন ভালো আছি৷”

বুইন্ডি জাতীয় উদ্যান এবং তার আশেপাশে অনেক সংরক্ষিত উদ্ভিদ এবং প্রাণীর আবাসস্থল রয়েছে৷ শুধু চোরাশিকারই নয়, আবাসস্থলের আয়তন কমে যাওয়া ও বিভিন্ন রোগের কারণে আজ এগুলো হুমকির সম্মুখীন৷ স্থানীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির প্রকল্প সংরক্ষণ প্রচেষ্টার মূল চাবিকাঠি৷

প্রকল্পের কারণে গরিলার সংখ্যা এখন মোটামুটি স্থিতিশীল আছে৷

গরিলাদের পাহারায় সাবেক শিকারীরা

To view this video please enable JavaScript, and consider upgrading to a web browser that supports HTML5 video

বর্তমানে গরিলার সংখ্যা নির্ধারণের চেষ্টা চলছে৷ পিটার টুমওয়েসিগিয়ে বুইন্ডি জাতীয় উদ্যানে গরিলা গণনা করার জন্য পার্ক রেঞ্জারদের সঙ্গে কাজ করছেন৷

গরিলা রক্ষা প্রকল্প সফল হচ্ছে কিনা তা গরিলার সংখ্যা জানার পর জানা যাবে৷ বুইন্ডি বনে প্রায় ৪৫০টি পাহাড়ি গরিলা রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ গরিলার সংখ্যা আবার বাড়তে দেখে খুশি রেঞ্জাররা৷

উগান্ডা বন্যপ্রাণী কর্তৃপক্ষের রেঞ্জার গাইড এক্সপেদিতো নুওয়ামানিয়া বলেন, ‘‘সাম্প্রতিক সময়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সচেতন করার পর আমরা খুবই খুশি, কারণ, গরিলার সংখ্যা যে ধীরে ধীরে বাড়ছে সে ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত৷ কারণ, আমরা যে গরিলা পরিবারগুলো দেখছি, তাদের বেশিরভাগেরই তিনটি বাচ্চা, চারটি বাচ্চা, পাঁচটি বাচ্চা রয়েছে, যা প্রমাণ করে যে, গরিলার সংখ্যা সত্যিই ধীরে ধীরে বাড়ছে৷”

জাতীয় উদ্যানের আশেপাশের অঞ্চল পর্যটন থেকেও উপকৃত হচ্ছে: এটি বেশ কয়েকটি সংরক্ষণ এবং উন্নয়ন প্রকল্পের তহবিল সংগ্রহে সহায়তা করেছে৷

রাজস্ব ভাগাভাগি করায় স্থানীয়রা জাতীয় উদ্যানে পর্যটন আয়ের ২০ শতাংশ পাচ্ছেন৷ এর ফলে স্থানীয়দের জন্য টেকসই জীবিকা নির্বাহ সম্ভব হচ্ছে৷

হিলারি আয়েসিগা, লুকাস লটার্সব্যার্গার/জেডএইচ

হাতি আর গরিলা রক্ষার এক সফল কাহিনি

To view this video please enable JavaScript, and consider upgrading to a web browser that supports HTML5 video

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *