Google Alert – সেনা
ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনায় অন্তত চারজন নিহত এবং বহু মানুষ নিখোঁজ হয়েছে। প্রবল বর্ষণের কারণে উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে।
বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় প্রধান সড়কগুলোতে ধস নেমে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যম ও প্রশাসনের বরাতে বুধবার জানানো হয়, উত্তরকাশী জেলার ধারালী গ্রামে পৌঁছাতে হিমশিম খাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা।
এই গ্রামটি গঙ্গোত্রীর পথে একটি জনপ্রিয় পর্যটনস্থল হিসেবে পরিচিত। স্থানীয়রা জানান, মেঘভাঙা বৃষ্টি হয়েছে ক্ষীর গঙ্গা নদীর উজানে। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ পানির ধ্বংসাত্মক ধারা নেমে এসে বিপর্যয় ঘটায়।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর উদ্ধৃতি দিয়ে এক্স-এ সেনা কর্মকর্তা কর্নেল হর্ষবর্ধন জানান, “নিখোঁজ ব্যক্তিদের সঠিক সংখ্যা এখনো জানা যায়নি, তবে রাতভর উদ্ধার তৎপরতা চলেছে। আমরা উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছি এবং মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছি।”
উত্তরকাশীর স্থানীয় কর্মকর্তা প্রশান্ত আর্য রয়টার্সকে জানান, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যাওয়ার রাস্তা ধসে পড়েছে কিংবা পাথর পড়ে বন্ধ হয়ে গেছে, ফলে উদ্ধার অভিযান কঠিন হয়ে পড়েছে।
প্রবল বৃষ্টিতে মোবাইল ও বিদ্যুৎ টাওয়ার ভেসে গেছে বলে জানানো হয়েছে। ফলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে দুর্গত এলাকাগুলো। উদ্ধারকারীদের উপগ্রহ ফোন সরবরাহ করা হয়েছে।
ধারালী থেকে মাত্র ৪ কিলোমিটার দূরে হর্ষিল সেনাবাহিনীর একটি ক্যাম্পে পাহাড় থেকে নেমে আসা হড়কা বানের ধাক্কায় ৯ সেনা নিখোঁজ হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে হর্ষিলের সেনা ক্যাম্পটি থেকে চার কিলোমিটার দূরে উত্তরকাশীর ধারালী গ্রাম এলাকায় মেঘভাঙা বৃষ্টির ঢল নেমে আসে।
আচমকা পর্বত থেকে নেমে আসা হড়কা বানে ভেসে যায় বহু বাড়ি ও হোটেল।
সেনাবাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড জানিয়েছে, “হরসিলে উদ্ধার তৎপরতা দ্রুততর করতে অতিরিক্ত সেনা দল, প্রশিক্ষিত কুকুর, ড্রোন, সরবরাহ ড্রোন, ভারী যন্ত্রপাতি ইত্যাদি পাঠানো হয়েছে।”
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে জানান, মঙ্গলবার রাতেই প্রায় ১৩০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্গতদের সহায়তায় সেনা হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
উত্তরাখণ্ডে প্রায়শই ভূমিধস ও বন্যার ঘটনা ঘটে থাকে। বিশেষজ্ঞরা এর পেছনে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে দায়ী করছেন।