Google Alert – পার্বত্য অঞ্চল
উত্তর কোরিয়াকে গালি দেওয়ার মাইক সরিয়ে নিচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া
সীমান্ত এলাকায় স্থাপন করা উত্তর কোরিয়াবিরোধী প্রচারে ব্যবহৃত লাউডস্পিকারগুলো সরিয়ে নিতে শুরু করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার। গত সোমবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লি কিয়ং-হো সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, দেশটির সামরিক বাহিনী লাউডস্পিকার অপসারণ কার্যক্রম শুরু করেছে।
আলজাজিরা জানিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট লি জে-মিয়ংয়ের প্রশাসন উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। গত জুনে ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই তিনি সীমান্তে উত্তর কোরিয়াবিরোধী সম্প্রচার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে উত্তর কোরিয়া এখন পর্যন্ত দক্ষিণের এই সৌহার্দ্যপূর্ণ আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে এবং বলেছে, তারা আলোচনায় আগ্রহী নয়।
১৯৫০-৫৩ সালের কোরীয় যুদ্ধ শান্তিচুক্তি নয়, বরং অস্ত্রবিরতির মাধ্যমে শেষ হয়েছিল। এর ফলে দুই কোরিয়ার মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় এই সম্পর্কের আরও অবনতি ঘটেছে। মাইক অপসারণের বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, ‘উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে উত্তেজনা প্রশমনের উদ্দেশ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে তা সামরিক প্রস্তুতির ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না।’
চলতি সপ্তাহের মধ্যেই সব মাইক সরিয়ে ফেলা হবে বলেও জানানো হয়েছে। তবে ঠিক কতগুলো মাইক অপসারণ করা হচ্ছে, তা প্রকাশ করা হয়নি। উল্লেখ্য, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি তার পূর্বসূরির দ্বারা ব্যর্থ সামরিক আইন জারির চেষ্টা ও অভিশংসনের প্রেক্ষিতে নির্বাচিত হয়েছেন। ক্ষমতায় এসেই তিনি উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আস্থার পুনর্গঠনের ডাক দিয়ে প্রচার বন্ধের নির্দেশ দেন।
এর আগে দক্ষিণ কোরিয়ার পূর্ববর্তী সরকার উত্তর থেকে আসা আবর্জনাপূর্ণ বেলুনের জবাবে সীমান্ত এলাকায় প্রচার সম্প্রচার শুরু করেছিল। তবে প্রেসিডেন্ট লি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, তিনি কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা হ্রাস এবং সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করবেন।
উত্তর কোরিয়া এখনও আলোচনায় রাজি হয়নি। দেশটির নেতা কিম জং উনের বোন কিম ইয়ো জং সম্প্রতি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘যদি দক্ষিণ কোরিয়া মনে করে যে, কিছু আবেগময় কথা বলেই আগের সবকিছু মুছে ফেলা যাবে, তবে সেটাই হবে সবচেয়ে বড় ভুল।’