এক ব্যক্তি গুলিবদ্ধ, ৩ জন নির্যাতনের শিকার

CHT NEWS

কাউখালী প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

রাঙামাটির কাউখালি উপজেলাধীন ঘাগড়া ইউনিয়নের কোজোইছড়ি মোনে (পাহাড়ে) সেনাবাহিনী
ও জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সন্তু গ্রুপ যৌথভাবে এক অভিযান পরিচালনা করেছে।

আজ মঙ্গলবার (২৪ জুন ২০২৫) ভোররাতে এ অভিযান চালানো হয়।

এ সময় সেনা-সন্তু গ্রুপের নির্বিচারে ছোঁড়া গুলিতে এক গ্রামবাসী (জুমচাষী) গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

অপরদিকে সেনারা উত্তর মৌনপাড়া থেকে অন্তত ৩ গ্রামবাসীকে আটক করে স্কুলঘরে
বন্দি করে রেখে তাদের ওপর শারীরিক নির্যাতন চালিয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ (মঙ্গলবার) ভোররাত সাড়ে ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে
একদল সেনা সদস্য ও সন্তু গ্রুপের একটি দল যৌথভাবে কোজোইছড়ি মোন এলাকায় হানা দেয়। এ
সময় তারা এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য এলোপাথাড়ি মুহুর্মুহু গুলি বর্ষণ করে।

তাদের ছোঁড়া গুলিতে ঘাগড়া ইউপির ডানে উল্ল গ্রামের ৪৫ বছর বয়সী এক গ্রামবাসী (জুমচাষী) আহত হন। এ সময় তিনি বাড়ি থেকে বাইরে টয়লেটে যাচ্ছিলেন। তার ডান পায়ে একটি গুলি বিদ্ধ
হয় বলে জানা গেছে।

সেনাদের ছোঁড়া গুলিতে আহত ব্যক্তি। 

অপরদিকে, সেনারা ফুরমোন এলাকার উত্তর মোনপাড়া গ্রাম থেকে তিন গ্রামবাসীকে
আটক করে স্থানীয় একটি স্কুলঘরে আটক রাখে। তাদের ওপর অমানুষিক শারীরিক নির্যাতন
চালানো হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিরা হলেন ১. মনসুখ চাকমা (৫০), পিতা মৃত বিন্দু
কুমার; ২. সিন্ধু মনি চাকমা (২৩) পিতা-মনসুখ চাকমা ও ৩. অন্তর চাকমা (১৯) পিতা- সোনামুনি
চাকমা। তারা সবাই ৩নং ঘাগড়া ইউনিয়নের উত্তর মোনপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

সেনারা উক্ত তিন গ্রামবাসীকে হাত পিছমোড়া করে বেঁধে মারধর করতে করতে স্কুলঘরে
নিয়ে একটি রুমে আটক রেখেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।

অপরদিকে, সেনাবাহিনীর সদস্যদের সাথে জেএসএস সন্তু গ্রুপের সশস্ত্র লোকজনও
ছিল বলে তারা নিশ্চিত করেছেন। গুলি চালানোর পর সন্তু গ্রুপের ১৭ জনের একটি সশস্ত্র
দলকে আজ সকালে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়ক পার হয়ে ঘাগড়ার আমছড়ির দিকে যেতে দেখেছেন বলে
তারা জানিয়েছেন।

এলাকায় ত্রাস-আতঙ্ক সৃষ্টি ও জনগণের আন্দোলন দমন করতে এই যৌথ অভিযান চালানো
হয়েছে বলে স্থানীয়দের ধারণা।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ২১ জুন হতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা চেলছড়া, জুনুমাছড়া,
কজইছড়ি, ধুজ্যাপাড়া, কাশখালী স্কুল ও বেতবুনিয়া ইউপির বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করেছিল বলে
স্থানীয়রা জানিয়েছেন।


সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।


Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *