Bangla Tribune
নেত্রকোনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে। আগামী রবিবার দুপুরে শহরের মোক্তারপাড়া এলাকায় পুরাতন কালেক্টরাল মাঠে সমাবেশ করবে দলটি। এ উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে, জেলা পুলিশ প্রশাসন পরিচালিত শহরের কুড়পাড় এলাকায় পুলিশ লাইনস স্কুল দুই দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। ওই স্কুলে নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যরা অবস্থান করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
তবে পুলিশ সদস্যদের অবস্থানের কারণে বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়নি বলে জানিয়েছেন নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) সাহেব আলী পাঠান। তিনি বলেন, ‘পুলিশ লাইনস স্কুলে পুলিশ অবস্থান করবে, তাই পরীক্ষা স্থগিত ও বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে– এই বিষয়টি সঠিক নয়। এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এটা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কেউ বিভ্রান্তি ছড়াতে পারে। স্কুল সঠিক নিয়মেই চলবে। আর বাইরে থাকা আসা ৬৬ জন পুলিশ সদস্যকে পুলিশ লাইনসেই রাখা হবে।’
এনসিপি দলীয় ও পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে হামলাকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে হামলাকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষে ঘটে হতাহতের ঘটনা। এরপর কক্সবাজারে এনসিপির এক নেতার বক্তব্যকে কেন্দ্র করে চকরিয়ায় মঞ্চ ভেঙে দেওয়া হয়। এরপর থেকে দলটি যেখানে সমাবেশ করে, সেখানে আইশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিচ্ছে। আগামী রবিবার নেত্রকোনায় দলটির সমাবেশ ঘিরে চার শতাধিক পুলিশ মোতায়েন করার হবে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে বাইরে থেকে ৬৬ জন পুলিশ আনা হবে। এই পুলিশ সদস্যদের রাখতে নেত্রকোনা পুলিশ লাইনস স্কুল বন্ধ ঘোষণা করে নোটিশ জারি করা হয়।
পুলিশ লাইনস স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল খালেক স্বাক্ষরিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘রবিবার এনসিপির পদযাত্রা উপলক্ষে নেত্রকোনায় আগত ফোর্স এই বিদ্যালয়ে অবস্থান করবে। এ জন্য ২৭ তারিখ রবিবার থেকে ২৮ তারিখ সোমবার পর্যন্ত বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে। ২৯ তারিখ মঙ্গলবার থেকে যথারীতি ক্লাস ও পরীক্ষা চলবে। ২৭ তারিখের পরীক্ষা ২৯ তারিখ অনুষ্ঠিত হবে।’
বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই নোটিশ ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে শিক্ষার্থী অভিভাবকসহ নেটিজেনরা মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। অনেকেই সমাবেশের কারণে বিদ্যালয় ও শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা বন্ধ রাখা উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালেক বলেন, ‘এনসিপির সমাবেশে বাইরে থেকে বাড়তি পুলিশ আসবে। তাদের পুলিশ লাইনস স্কুলে থাকতে দেওয়া হবে। তাই বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিদ্যালয়ে ১০টির মতো বড় শ্রেণিকক্ষ আছে। আশা করি থাকার সমস্যা হবে না।’