RisingBD – Home
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (এফডিসি) এক ব্যক্তি রামদা হাতে বিকালে অতর্কিতে হামলা চালান। তাৎক্ষণিকভাবে তার পরিচয় জানা না গেলেও তিনি নেশাগ্রস্ত ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ঘটনায় এফডিসির প্রশাসনিক ভবনের ২৪টি থাই গ্লাস ভেঙে ফেলেন ওই হামলাকারী। এতে আনুমানিক ৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে।
এক মাতাল রামদা নিয়ে হামলা করেছে বলে মন্তব্য করে এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুমা রহমান তানি রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “একজন নেশাগ্রস্ত মাতাল রামদা হাতে নিয়ে এফডিসিতে ঢুকে হামলা চালায়। আমি বিষয়টি জানার পর দুই বার সরেজমিনে গিয়েছি, থানার সঙ্গেও কথা বলেছি। আগামীকাল সকালে হামলাকারীর বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।”
শুটিং ইউনিটে আতঙ্ক, ক্ষতির শিকার নির্মাতা
চলচ্চিত্র অভিনেতা ডন বলেন, “সকাল থেকেই পরিচালক সৌমিত্র ঘোষ ইমনের মিউজিক ভিডিওর শুটিং হচ্ছিল ৭ নম্বর ফ্লোরে। বিকালে হঠাৎ চেঁচামেচির শব্দ শুনে বেরিয়ে দেখি, এক অপরিচিত ব্যক্তি বড় একটি রামদা হাতে নিয়ে প্রশাসনিক ভবনের গ্লাস ভাঙচুর করছে। সে ‘গলুই’ সিনেমার প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু এবং পরিচালক এস এ হক অলিককে খুঁজছিল, আর বলছিল, যে সামনে আসবে তাকেই কুপিয়ে ফেলবে।”
পরিচালক এস এ হক অলিক বলেন, “ছবিতে হামলাকারীকে দেখেছি, কিন্তু তাকে চিনি না। কেন সে আমাকে খুঁজছে, তা-ও জানি না।”
পরিচালক সৌমিত্র ঘোষ ইমন বলেন, “ঘটনাটি অত্যন্ত ভীতিকর ছিল। শুটিং দুই ঘণ্টা বন্ধ রাখতে হয়েছে, এতে প্রায় দুই লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।”
এফডিসির নিরাপত্তাকর্মী মনির বলেন, “দুর্বৃত্ত দেয়াল টপকে ভিতরে প্রবেশ করেছে। আমরা বিষয়টি বুঝেই দ্রুত সেখানে পৌঁছাই। ৯৯৯-এ কল দেওয়ার পর পুলিশ এসে হামলাকারীকে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় নিয়ে যায়।”
তবে শুটিয়ে থাকা নৃত্য পরিচালক প্রিন্স ও শুটিং ইউনিটের অন্যরা দাবি করেন, “হামলাকারী দেয়াল টপকে নয়, মূল গেট দিয়েই প্রবেশ করেছে। সিকিউরিটির গাফিলতি ঢাকতেই দেয়াল টপকানোর গল্প বলা হচ্ছে।”
তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ওসি জানিয়েছেন, “আটক ব্যক্তিকে হেফাজতে রাখা হয়েছে। এফডিসি কর্তৃপক্ষ যদি লিখিত অভিযোগ দেয়, তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এই ঘটনার পর এফডিসিতে চিত্রকর্মীদের মাঝে ব্যাপক আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেকেই বলছেন, নিরাপত্তা জোরদার না হলে ভবিষ্যতে আরও বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।