এবার ভূমিকম্পে কাঁপল নেপাল | কালবেলা

Kalbela News | RSS Feed

এবার নেপালে ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। বাংলাদেশ ও ভারতে দুই দফা ভূমিকম্পের এক দিনের মাথায় দেশটিও কাঁপল। এ কম্পনের প্রভাব বাংলাদেশেও অনুভূত হয়।

নেপালের জাতীয় ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ভোরে নেপালের কাঠমান্ডুর উত্তরে ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। তিব্বতের সীমান্ত বরাবর হিমালয় পর্বতমালার কাছে নেপালের সিন্ধুপালচক জেলার ভৈরব কুণ্ডে ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল। খবর রয়টার্সের।

তবে জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেস ভূমিকম্পের তীব্রতা ৫.৬ এবং গভীরতা ১০ কিলোমিটার (৬.২১ মাইল) বলেছে। অপরদিকে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপের রেকর্ড অনুযায়ী ৫.৫ মাত্রার কম্পন ছিল এটি।

ভূমিকম্পে তীব্র ঝাঁকুনি অনুভূত হলেও তাৎক্ষণিকভাবে নেপালে ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ভোটে কোশি গ্রামীণ পৌরসভার চেয়ারম্যান পাসাং নুরপু শেরপা রয়টার্সকে বলেন, এখন পর্যন্ত আমার কাছে কোনো ক্ষয়ক্ষতির তথ্য নেই। ভূমিকম্পের ফলে নদীর ওপারে দুগুনাগাদি ভিরে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। ভূমিধসের স্থানের আশেপাশে কোনো বাড়িঘর নেই।

সিন্ধুপালচোকের জেলা গভর্নর কিরণ থাপা বলেন, ভূমিকম্পের সময় দৌড়াতে গিয়ে জেলা কারাগারের এক বন্দীর হাত ভেঙে যায় এবং তিনি এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কোদারিতে একটি পুলিশ পোস্ট ভবনে ছোটখাটো ফাটল দেখা দিয়েছে তবে সেটি গুরুতর নয়।

সিন্ধুপালচক জেলার একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা গণেশ নেপালি রয়টার্সকে বলেন, আমারা ঘুমে ছিলাম। হঠাৎ প্রচণ্ডভাবে নাড়িয়ে দেয় আমাদের। সময়টা ছিল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টা ৫১ মিনিট। আমরা আমাদের বাড়ি থেকে দ্রুত বেরিয়ে আসি। লোকেরা এখন ঘরে ফিরে এসেছে। আমরা এখনও পর্যন্ত কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা আহত হওয়ার খবর পাইনি।

এদিকে মধ্যরাতে আবারও ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকা। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ৩টা ৬ মিনিটে রাজশাহী, জয়পুরহাট, ঠাকুরগাঁওসহ বেশ কিছু অঞ্চলে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

এর আগে বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ২টা ৫৫ মিনিটে সিলেটে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর উৎপত্তিস্থল ভারতের আসাম রাজ্যের মরিগাঁও।

ভারতের জাতীয় ভূকম্পন কেন্দ্র (এনসিএস) জানিয়েছে, মরিগাঁও জেলা ও গুয়াহাটিতে কম্পনের মাত্রা ছিল তীব্র। এ ছাড়া রাজ্যের অন্যান্য অংশেও মৃদু কম্পন অনুভূত হয়। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ২টা ২৫ মিনিটে ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর উৎপত্তিস্থলে গভীরতা ছিল ১৬ কিলোমিটার ।

এরও আগে মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী রাজ্য ওড়িশায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ওই দিন সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে হওয়া কম্পনের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৩।

ভলকানো ডিসকভারি এ তথ্য জানিয়েছে। তাদের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৬.৪০ মিনিটে ভারত থেকে ২১৬ কিলোমিটার (১৩৪ মাইল) দূরে বঙ্গোপসাগরে ৫.৩ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার (৬ মাইল) এবং তা এলাকাটিতে ব্যাপকভাবে অনুভূত হয়।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *