Google Alert – সশস্ত্র
শিরোপা নির্ধারণী এই মঞ্চে ভারতই ফেভারিট। ফাইনালে ওঠার পথে তারা পাকিস্তানকে দুইবার হারিয়েছে, যা ছিল একপেশে জয়। মাঠের লড়াইয়ে সেই অর্থে উত্তেজনা বা উত্তাপের ঝাঁজ দেখা না গেলেও এই বহু-প্রতীক্ষিত ফাইনাল ঘিরে ক্রিকেটপ্রেমীদের উন্মাদনা এখন তুঙ্গে। আজকের ম্যাচেও কি একই দৃশ্যের অবতারণা হবে, নাকি চিত্রনাট্য বদলে দেবে পাকিস্তান, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
এশিয়া কাপের ১৬টি আসরের মধ্যে ভারত সর্বোচ্চ আটবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। অন্যদিকে, পাকিস্তান পাঁচবার ফাইনালে খেলে জিতেছে দুইবার। আজ ভারতীয়রা নবম শিরোপা ঘরে তুলবে, নাকি তৃতীয়বারের মতো এশিয়ার সেরা হবে পাকিস্তানিরা, তা জানা যাবে মাঠের লড়াই শেষে।
যদিও ২০০৭ সাল থেকে ভারতের বিপক্ষে ফাইনাল মানেই পাকিস্তানের জয়, এবার ইতিহাস বদলানোর মিশনে ভারত। অন্যদিকে, পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলি আগা ২০১৭ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, যেখানে তারা ভারতকে হারিয়েছিল। এবারও দুবাইয়ে ইতিহাস রচনা করতে বদ্ধপরিকর পাকিস্তান।
গত ম্যাচগুলোতে দুই দেশের বৈরী রাজনৈতিক প্রভাব খেলায় পড়া এবং খেলোয়াড়দের নানা বিতর্কে জড়িয়ে পড়ার কারণে ফাইনালের উত্তাপ বেড়েছে বহুগুণে। ভারতীয় অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের জয়টি ভারতের সশস্ত্র বাহিনীকে উৎসর্গ করেন এবং সন্ত্রাসী হামলায় নিহত পরিবারের প্রতি সংহতি জানান।
এছাড়া, ভারতীয় খেলোয়াড়দের সঙ্গে পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের হ্যান্ডশেক না করার ঘটনাও বিতর্কের জন্ম দেয়। ফাইনালের আগে আগ্রাসী আচরণের জন্য আইসিসির শাস্তির মুখে পড়েন হারিস রউফ, এবং সাহেবজাদা ফারহানকেও তলব করা হয়। দুই দলের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ও শাস্তির ঘটনা ফাইনালের উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
গ্রুপ পর্ব ও সুপার ফোরে ভারতের কাছে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীনভাবে হারলেও ফাইনাল ঘিরে বেশ আত্মবিশ্বাসী পাকিস্তান দল। অধিনায়ক সালমান আলি আগা বলেছেন, ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিততে তারা ভালো করেই জানে। তবে শিরোপা জয়ের দৌড়ে পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে ভারত।
ডিবিসি/এএমটি