কক্সবাজারে রোহিঙ্গা বিষয়ক সেমিনারে অংশ নিবেন প্রধান উপদেষ্টা

Google Alert – প্রধান উপদেষ্টা

কক্সবাজারে রোহিঙ্গা বিষয়ক সেমিনারে অংশ নিবেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট, ২০২৫, ৮:৫২ পিএম  (ভিজিট : ২০)

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। সংগৃহীত ছবি

রোহিঙ্গা সমস্যাকে আন্তর্জাতিক ফোরামে আলোচনার একটি প্রধান বিষয় হিসেবে ফিরিয়ে আনতে ও মিয়ানমারে তাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের জন্য একটি রোডম্যাপ তৈরির লক্ষ্যে কাজ চলছে। এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আগামী রোববার (২৪ আগস্ট) থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত কক্সবাজারে তিন দিনের একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ২৫ আগস্ট (সোমবার) সম্মেলনে যোগ দেবেন। 

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) এক ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান।

প্রেস সচিব বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত। রোহিঙ্গা সমস্যাকে আন্তর্জাতিক ফোরামে আলোচনার একটি প্রধান বিষয় হিসেবে ফিরিয়ে আনতে ও মিয়ানমারে তাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের জন্য একটি রোডম্যাপ তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছে। এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আগামী রোববার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত কক্সবাজারে তিন দিনের একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ২৫ আগস্ট (সোমবার) সম্মেলনে যোগ দেবেন। চলতি বছরের শেষের দিকে নিউইয়র্ক এবং দোহায় আরও দুটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সবচেয়ে বড় সম্মেলনটি আগামী সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি আরও জানান, কক্সবাজার সম্মেলনে রোহিঙ্গা প্রতিনিধি, ৪০টি দেশের প্রতিনিধি, ঢাকায় অবস্থিত কূটনীতিক এবং জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করবেন। ২৪ আগস্ট রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। তিন দিনের এই সম্মেলনে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন ও তহবিলের জন্য একটি বিস্তৃত রোডম্যাপের বিষয়গুলো তুলে ধরা হবে।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, বিদেশে ৪০ হাজার কোটির সম্পদের সঙ্গে অনেকগুলো আইনি প্রক্রিয়া আছে। এখানে আইনি অনেক জটিলতা আছে। ফলে অনেকের নাম কিংবা কোথায় তার সম্পদ আছে, আমরা এখানে তা প্রকাশ করতে পারি না। কিন্তু এদের অনেকের সম্পদের কথা ব্রিটিশ পত্রিকায় এসেছে। যেহেতু আমাদের সরকার এখানে একটা অংশ, সরকার প্রথমে খুঁজবে কোথায় কোথায় সম্পদ আছে। 

দ্বিতীয়ত যেসব দেশে সম্পদ রয়েছে, সেসব দেশের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ওই সম্পদ ফ্রোজেন করা হয়। কিছু কিছু জায়গায় কিন্তু ফ্রোজেন হয়ে গেছে। আমাদের এখান থেকে টাকা পাচার করে যেহেতু বিদেশে ওই সম্পদ কেনা হয়েছে, সেটি বিক্রি করে পুরো টাকাটা ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য কাজ করছি। এটা খুবই সময়সাপেক্ষ বিষয়। তবে এই কাজগুলো গুরুত্বের সঙ্গে করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ নিয়ে বাংলাদেশের ব্যাংক, দুদক, এনবিআর, সিআইডির দল কাজ করছে। এটা খুবই বিস্তৃত একটা কাজ। আমার মনে হয় কয়েক বছর লেগে যাবে, পুরো টাকা ফেরত আনতে।

এসকে/ 

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *