কনটেইনারবাহী গাড়িতে পালাচ্ছিলেন পুলিশ কোপানো মামলার প্রধান আসামি

Kalbela News | RSS Feed

চট্টগ্রাম নগরের বন্দর থানা পুলিশের ওপর হামলা মামলার ঘটনায় প্রধান আসামি শাকিলকে (২৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। চট্টগ্রাম থেকে কনটেইনারবাহী একটি গাড়িতে করে পালানোর সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি চালকের সহযোগীর সিটে বসা ছিলেন।

বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব উদ্দিন গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করে কালবেলাকে বলেন, শনিবার রাত ৩টা নাগাদ পতেঙ্গার আউটার রিং-রোড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে ঢাকায় পালিয়ে যাচ্ছিল। পরে তাকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে গিয়ে ঈশান মিস্ত্রিরঘাটে খালপাড়ে একটি টিনশেড ঘর থেকে তার সহযোগী আরিফকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ঘরে লুকিয়ে রাখা এলজি, ৩টি কার্তুজ ও ১টি কিরিচ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, শাকিলের বিরুদ্ধে সিএমপি ও ডিএমপির বিভিন্ন থানায় ৯টি মামলা রয়েছে। পুলিশকে কোপানোর ঘটনার পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র ও সন্ত্রাস দমন আইনে পৃথক দুটি মামলায় এখন এজাহারনামীয় আসামি ৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গত সোমবার (১১ আগস্ট) রাত ১টার দিকে বন্দর থানার ঈশান মিস্ত্রির ঘাট এলাকায় আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলের পর আবু সাঈদ ওরফে রানা নামে পুলিশের এক উপপরিদর্শককে (এসআই) কুপিয়ে জখম করেছে নেতাকর্মীরা।
এসআই আবু সাঈদ রানার মাথায়, গলায়, হাতে ও পেটে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে তারা। এসআই আবু সাঈদের মাথা ও ঘাড়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। পুলিশকে জখমের ঘটনার পর ওয়্যারলেসে অস্ত্রধারীদের দেখামাত্র গুলির নির্দেশের বার্তা দেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ।

ওসি আফতাব উদ্দিন আরও বলেন, ঘটনার দিন স্থানীয় যুবলীগ ক্যাডার আসামি শাকিলের নেতৃত্বে মিছিল বের হয়েছিল। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে শাকিল তার সহযোগীদের সহায়তায় ধারালো কিরিচ দিয়ে এসআই আবু সাঈদ রানার মাথায়, গলায়, হাতে ও পেটে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। ঘটনার পরপরই পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানে জড়িত অধিকাংশকেই গ্রেপ্তার করা হয়। বিশ্বস্ত সূত্রের মাধ্যমে পুলিশ জানতে পারে, পুলিশের ওপর আক্রমণকারী মূল হোতা শাকিল কনটেইনারবাহী গাড়িতে করে ঢাকায় পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *