Google Alert – সামরিক
অস্ত্রবিরতি দুই দিন পার হওয়ার আগেই দ্বিতীয়বারের মতো কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে থাইল্যান্ড। ‘আগ্রাসন’ অব্যাহত থাকলে থাই বাহিনী কোনোরকম দ্বিধা ছাড়াই পাল্টা আক্রমণ চালাবে বলে হুঁশিয়ার করেছে।
বুধবার থাই সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, কম্বোডীয় বাহিনী বিরোধপূর্ণ সীমান্তের তিনটি পৃথক এলাকায় অস্ত্রবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে।
সোমবার মালয়েশিয়ায় দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে আলোচনার পর হওয়া অস্ত্রবিরতি ওই দিন মধ্যরাত থেকেই কার্যকর হয়। এর আগে সীমান্ত বরাবর দুই প্রতিবেশীর মধ্যে পাঁচ দিন ধরে চলা লড়াইয়ে অন্তত ৪৩ জন নিহত এবং তিন লাখেরও বেশি বেসামরিক বাস্তুচ্যুত হন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
থাইল্যান্ড অভিযোগ করে বলেছে, কম্বোডিয়ার বাহিনী তাদের উত্তর সীমান্ত থেকে থাইল্যান্ডের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় সিসাকেত প্রদেশে তাদের সামরিক অবস্থানগুলোতে গোলাগুলি বর্ষণ করেছে।
থাই সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল উইনথাই সুবারি সাংবাদিকদের বলেন, “কম্বোডিয়ার বাহিনী হালকা অস্ত্র ও গ্রেনেড লঞ্চার ব্যবহার করেছে, থাই বাহিনী আত্মরক্ষার্থে জবাব দিয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “চুক্তি হওয়ার পর থেকে এটি দ্বিতীয় ঘটনা যেখানে এমন এক আচরণ প্রতিফলিত হচ্ছে যা চুক্তিকে শ্রদ্ধা করে না, উত্তেজনা প্রশমণের প্রচেষ্টাকে ধ্বংস করে এবং দুই দেশের মধ্যকার বিশ্বাসকে ব্যাহত করে।”
কম্বোডিয়া সব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, তারা অস্ত্রবিরতির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তারা আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক ডাকার কথাও বলেছে।
কম্বোডিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র চাম সোনরি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, “অস্ত্রবিরতি নিয়ে অভিযোগগুলো কম্বোডিয়া জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যান করছে। এগুলো মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর এবং ভঙ্গুর আস্থা তৈরির প্রক্রিয়ার জন্য ক্ষতিকর।”
তিনি জানান, কম্বোডিয়া সরকার পর্যবেক্ষণ প্রক্রিয়া ও স্বাধীন পর্যবেক্ষণকে সমর্থ করে।
দুই পক্ষের মধ্যে হওয়া অস্ত্রবিরতি চুক্তিতে সেনা মুভমেন্ট বন্ধ রাখা, দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক এবং ৪ অগাস্ট কম্বোডিয়ায় দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের মধ্যে বৈঠক হওয়ার বিষয়েও সমঝোতা হয়েছে।
সীমান্ত অঞ্চলে দুই পক্ষের মধ্যে ভারী গোলাগুলি বিনিময় হওয়ার কোনো খবর হয়নি। পাশাপাশি কোনো পক্ষ সীমান্ত অঞ্চলে মোতায়েন করে রাখা সেনা প্রত্যাহার করেছে বলেও কোনো খবর হয়নি।
আরও পড়ুন:
অস্ত্রবিরতি শুরু হওয়ার পর কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে লঙ্ঘনের অভিযোগ থাইল্যান্ডের