কানাডা সফর শেষে চট্টগ্রামে ফিরলেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন

Google Alert – পার্বত্য চট্টগ্রাম

কানাডা সফর শেষে চট্টগ্রামে ফিরেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিকেল ৪টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার পর ইউএস বাংলার একটি ফ্লাইটে তিনি চট্টগ্রামে পৌঁছান।

মেয়রকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন চসিকের সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী আনিসুর রহমান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমাম হোসেন রানা এবং চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব ও দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার আবাসিক সম্পাদক জাহিদুল করিম কচি। তাঁরা ফুল দিয়ে মেয়রকে উষ্ণ শুভেচ্ছা জানান।

এর আগে, কানাডা সফর শেষে বুধবার রাতে তিনি ঢাকায় পৌঁছান এবং বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক মূল্যায়ন অনুষ্ঠানে দেশের ১২টি সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন প্রথম স্থান অধিকার করায় ক্রেস্ট ও সনদ গ্রহণ করেন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

ডা. শাহাদাত হোসেন গত ২৮ জুন কানাডা সফরে যান। সফরকালে তিনি বিভিন্ন কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এসময় চট্টগ্রাম নগরীর উন্নয়ন, আধুনিক নগর ব্যবস্থাপনা, প্রযুক্তিনির্ভর সেবা, পরিবেশবান্ধব নগর গঠন এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা নিয়ে মতবিনিময় করেন তিনি।

সফরের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে মন্ট্রিয়লের কনকর্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চসিক পরিচালিত প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির মধ্যে একটি কৌশলগত শিক্ষা বিনিময় চুক্তি (MoU) স্বাক্ষরের উদ্যোগ নেন মেয়র। এতে উচ্চশিক্ষা, গবেষণা ও শিক্ষার্থী বিনিময়ের সুযোগ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

এছাড়া, কানাডার টরেন্টোর বাংলা টাউনের ড্যানফোর্থ এলাকায় অন্টারিও প্রদেশের সংসদ সদস্য (এমপিপি) মেরি-মার্গারেট ম্যাকমাহনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মেয়র। বৈঠকে জলবায়ু সহনশীলতা, উদ্যোক্তা উন্নয়ন ও নার্সিং খাতে দক্ষ জনবল গঠনে যৌথ উদ্যোগের বিষয়ে আলোচনা হয়।

টরেন্টো সিটি হলে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের সঙ্গে টরেন্টোর মেয়র অলিভিয়া চৌ এবং এমপিপি ডলি বেগমের যৌথ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে দুই নগরের মধ্যে কৌশলগত সহযোগিতা, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা, স্বাস্থ্যখাতে প্রশিক্ষিত জনবল আদান-প্রদানের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা হয়।

চসিক মেয়রের এ সফর চট্টগ্রামের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরার পাশাপাশি ভবিষ্যতের নগর ব্যবস্থাপনায় আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব সম্প্রসারণের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আর এইচ/

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *