Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment
কুমিল্লা: জেলার চৌদ্দগ্রামে অটোমিশুকচালক সৈকত হত্যার ঘটনায় জড়িত অন্যতম আসামি তুহিন মজুমদারকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১ সিপিসি-২ এর সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাত সাড়ে ৩টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১১, সিপিসি ২ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাদমান ইবনে আলম। গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চৌদ্দগ্রাম থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
গ্রেফতার তুহিন মজুমদার (৩২) চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের বাবুল মজুমদারের ছেলে।
গত ৩ জুলাই রাতে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মুন্সীরহাট ইউনিয়নের বাহেরগড়া এলাকার নাঙ্গলিয়া খাল পাড়ে তাফরুল ইসলাম সৈকত (১৯) নামে এক অটোমিশুকচালককে নৃশংসভাবে খুন হয়।
প্রাথমিকভাবে জানা যায়, নিহত সৈকত অটোমিশুক চালানোর উদ্দেশ্যে গত ২ জুলাই বিকেল ৫টায় বাড়ি থেকে বের হয়। রাত ১১টার পরেও সৈকত বাড়িতে না ফেরায় তার পরিবার তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করতে থাকে। পরবর্তীতে বিকেল সাড়ে ৫টায় চৌদ্দগ্রামের মুন্সীরহাট ইউনিয়নের বাহেরগড়া এলাকার নাঙ্গলিয়া খাল পাড়ে সৈকতের লাশ পাওয়া যায়।
এই ঘটনায় সৈকতের বাবা বাদী হয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায় ও ছায়া তদন্ত শুরু করে।
গোয়েন্দা নজরদারি ও ছায়া তদন্তে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যতম আসামি তুহিন মজুমদারের অবস্থান চৌদ্দগ্রাম থানা এলাকায় শনাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় বৃহস্পতিবার রাতে চৌদ্দগ্রাম থানাধীন বসন্তপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এই হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত অন্যতম আসামি তুহিন মজুমদারকে গ্রেফতার করে র্যাব।
গ্রেফতার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতার আসামিসহ অন্যান্য আসামিদের সঙ্গে সৈকতের সু-সম্পর্ক ছিল। সেই সূত্র ধরে গত ১ জুলাই রাতে গ্রেফতার আসামিসহ তার অন্যান্য সহযোগী আসামিরা একত্রে মিলিত হয়ে সৈকতকে হত্যা করে তার অটোমিশুকটি ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করে। এরই ধারাবাহিকতায়, ঘটনার দিন ২ জুলাই রাত ১১টায় আসামিরা অটোমিশুকসহ সৈকতেকে নিয়ে চৌদ্দগ্রাম থানাধীন মুন্সীরহাট ইউনিয়নের বাহেরগড়া এলাকার নাঙ্গলিয়া খাল এলাকায় গিয়ে সবাই মিলে বসে গল্প করে। এক পর্যায়ে পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক গ্রেফতার আসামির নির্দেশে ঘটনাস্থলের পাশে লুকিয়ে রাখা চাপাতি দিয়ে অন্যান্য আসামিরা সৈকতকে কুপিয়ে হত্যা করে এবং তার কাছে থাকা নগদ টাকা, মোবাইল এবং অটোমিশুকটি নিয়ে লাশ খালে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়।