jagonews24.com | rss Feed
বান্দরবানের পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ইউনিফর্ম তৈরি এবং কাপড় সরবরাহের অভিযোগে চট্টগ্রামে গ্রেফতার আট আসামির ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার (১৮ জুন) বায়েজিদ থানার এক মামলায় শুনানি শেষে মহানগর হাকিম মোহাম্মদ মোস্তফা এ আদেশ দেন।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গ্রেফতার ৮ আসামির ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রিমান্ডের আদেশ হওয়া আট আসামি হলেন- তারিকুল ইসলাম, তৌহিদুল ইসলাম, আতিকুর রহমান, জামালুল ইসলাম, কামরুজ্জামান, সাহেদুল ইসলাম, গোলাম আজম ও নিয়াজ মোরশেদ।
এর আগে গত ৩ জুন পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তারিকুল ইসলাম, তৌহিদুল ইসলাম ও আতিকুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রথম দফায় পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত।
গত ২ জুন রাতে নগরের চান্দগাঁওয়ের কালুরঘাট এলাকার কারখানা থেকে চার জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা হলেন- তারিকুল ইসলাম, তৌহিদুল ইসলাম, আতিকুর রহমান ও জামালুল ইসলাম। চার আসামিকে বায়েজিদ বোস্তামী থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
এর আগে গত ২৭ মে রাতে নগরীর পাহাড়তলী থানার নুর ফ্যাশন অ্যান্ড গার্মেন্টস নামের কারখানা থেকে কেএনএফের ১৫ হাজার ইউনিফর্ম উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মতিউর রহমানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে বায়েজিদ বোস্তামী থানার এক পুলিশ সদস্য বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে পাহাড়তলী থানায় মামলা করেন।
তার আগে ২৬ মে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকায় রিংভো অ্যাপারেলস নামের পোশাক কারখানার গুদাম থেকে ১১ হাজার ৭৮৫টি এবং ১৭ মে নয়ারহাটের কারখানা এবং পাশের মুজাফফরনগর আবাসিক এলাকার ওই কারখানা থেকে কেএনএফের ২০ হাজার ৩০০ সেট ইউনিফর্ম জব্দ করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। এ ঘটনায় ওই কারখানা মালিক সাহেদুল ইসলাম, ইউনিফর্ম তৈরির দুই ফরমাশদাতা গোলাম আজম এবং নিয়াজ হায়দারকে গ্রেফতার করা হয়।
ওই ঘটনায় বায়েজিদ থানায় একই আইনে আরেক মামলা হয়। ওই মামলায় উল্লেখ করা হয়, নিষিদ্ধ সংগঠন কেএনএফের সদস্যরা রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান জেলার বিভিন্ন স্থানে সশস্ত্র অবস্থান নিয়ে ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায়, হত্যা, অপহরণ, গুমসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে। গ্রেফতার ও অজ্ঞাতপরিচয়ের আসামিরা বাংলাদেশের অখণ্ডতা, সংহতি জননিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করতে অবৈধভাবে বিভিন্ন উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহ করে।
এমডিআইএইচ/এমআইএইচএস/এএসএম