Google Alert – সশস্ত্র
বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সহযোগী গ্রুপ কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) গোলাগুলি হয়েছে। দুপক্ষের বন্দুকযুদ্ধে কেএনএ কমান্ডারসহ দুই অস্ত্রধারী নিহত হয়েছে। এ সময় আস্তানা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণে অস্ত্রশস্ত্র। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রুমা সেনা জোনে আনুষ্ঠানিক প্রেস ব্রিফিংয়ে সেনাবাহিনীর রুমা জোনের কমান্ডার লে. কর্নেল আলমগীর হোসেন বিষয়টি জানিয়েছেন।
এদিকে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে রুমা উপজেলার পলিপাংসা-মুলফিপাড়া এলাকায় ‘কেএনএফ’র সশস্ত্র দল কেএনএ’র বিরুদ্ধে একটি সফল অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান এলাকায় তল্লাশি চলাকালে সেনাসদস্যরা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের দলটিকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। পরিস্থিতি বিবেচনায় কেএনএফ সদস্যরা পালানোর চেষ্টা করলে উভয়পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে সেনা টহল দল ঘটনাস্থলে ইউনিফর্ম পরিহিত দুজন সশস্ত্র কেএনএফ সদস্যের মৃতদেহ উদ্ধার করে। নিহত দুজনের মধ্যে একজনের নাম পুটিং/ডলি, যিনি কেএনএফ’র নেতৃত্ব পর্যায়ের মেজর পদবির সশস্ত্র সদস্য ছিলেন। নিহত আরেকজন কেএনএফ’র সশস্ত্র শাখার সদস্য ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। অভিযান শেষে ঘটনাস্থল থেকে ৩টি সাবমেশিনগান, ১টি রাইফেল, বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ, অস্ত্রের ম্যাগাজিন, কেএনএফর ব্যবহৃত ইউনিফর্ম এবং গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র উদ্ধার করা হয়।
আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিগত বছরগুলোতে কেএনএফ’র সশস্ত্র কর্মকাণ্ডের জন্য বম জনগোষ্ঠীর অনেক পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। সেনাবাহিনীর অব্যাহত সফল অভিযানের কারণে নিরাপত্তা পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে ১২৬টি পরিবার তাদের নিজ নিজ পাড়ায় ফিরে এসেছে এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার প্রচেষ্টায় রয়েছে। সেনাবাহিনী তাদের নিরাপত্তা, আশ্রয় ও পুনর্বাসনে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে সব জাতিগোষ্ঠীর জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বদ্ধপরিকর এবং ভবিষ্যতেও সশস্ত্র দলগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এদিকে, রুমা জোন চত্বরে প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সেনাবাহিনীর রুমা জোনের কমান্ডার লে. কর্নেল আলমগীর হোসেন আরও বলেন, কেএনএফ অস্ত্রধারীদের যেখানে অবস্থান রয়েছে, সেটি পর্যটন এলাকা থেকে অনেক দূরে। তাই পর্যটন শিল্পে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। ফিরে আসা গ্রামবাসীদের নিরাপত্তা এবং খাদ্য-বাসস্থানের বিষয়ে সহযোগিতায় সেনাবাহিনী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে বলে তিনি জানান।