Google Alert – সামরিক
অপেক্ষার অবসান হয়েছে। ভক্তরা এতদিন ধরে যে খবরের অপেক্ষায় ছিলেন, তা এসে গেছে।
জনপ্রিয় কে-পপ ব্যান্ড বিটিএসের সদস্যরা একত্র হয়ে জানিয়েছেন, নতুন অ্যালবামের কাজ শুরু করছেন তারা। আগামী বছরের ব্সন্তে মুক্তি পাবে বিটিএসের সেই কাঙ্ক্ষিত অ্যালবাম। আর সেই কাজের জন্য চলতি মাসে যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন তারা।
একই সময়ে সংগীতসফর শুরু করবে এই জনপ্রিয় কে-পপ ব্যান্ড।
বিবিসি লিখেছে বাধ্যতামূলত সামরিক প্রশিক্ষণ শেষে ঘরে ফেরার দুই সপ্তাহ পেরুনোর আগেই এই ঘোষণা দিলেন জিমিন, জে হোপরা।
ফ্যান প্ল্যাটফর্ম ‘ওয়েভার্সে’ লাইভে এসে এই ঘোষণা দেন বিটিএসের সদস্যরা। ২০২২ সালের পর বিটিএসের সাতজন প্রথমবার একসঙ্গে লাইভে আসলেন। ৩০ মিনিটের ওই লাইভটি দেখেছেন ৭০ লাখের বেশি ভক্ত।
জিমিন বলেন, “বন্ধুরা, আমরা ফিরে এসেছি। অ্যালবামের পাশাপাশি বিশ্ব সফরের পরিকল্পনা করেছি। সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে থাকা বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করব আমরা। বিষয়টি নিয়ে আপনাদের মত আমরাও দারুণ রোমাঞ্চিত।”
নতুন অ্যালবামটি হবে ২০২০ সালের পর বিটিএসের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য কোনো প্রকাশ।
আর ২০২২ সালে তাদের ‘পারমিশন টু ডান্স স্টেজ’ ট্যুরের পর এটাই হবে বিটিএসের প্রথম বিশ্ব সফর।
বিটিএসের সাত সদস্য হলেন আর এম, জিন, জে হোপ, জিমিন, ভি, জাংকুক ও সুগা।
আর এম বলেন, “এই মাস থেকে থেকে আমরা সাতজন নতুন গান ও কনসার্টের প্রস্তুতি নিয়ে নিয়মিত বসব। যেহেতু এটা আমাদের ব্যান্ডের অ্যালবাম, তাই ব্যান্ডের প্রতি সদস্যের চিন্তাভাবনা প্রতিফলিত হবে গানগুলোতে। আমরা সেই শিকড়ে ফিরে যাচ্ছি।”
২০১৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে বিটিএস। সে সময় তাদের ডাকা হত ‘পুচকে’ নামে। কিন্তু সামরিক প্রশিক্ষণে থাকার কারণে প্রায় তিন বছর বন্ধ ছিল বিটিএসের কার্যক্রম। এরই মধ্যে প্রশিক্ষণ শেষ করে বাড়ি ফিরেছেন সাতজনই।
কোরীয় তরুণদের এই প্রশিক্ষণ পর্বের প্রস্তুতি শুরু হয় সাধারণ ১৮ বছর বয়স থেকে। ২০ বছর বয়সের মধ্যে তাদের শারীরিক পরীক্ষা করা হয় যে, আদৌ সেই তরুণ সামরিক প্রশিক্ষণের জন্য উপযুক্ত কী না। পরীক্ষায় পাস করলে পরে সুবিধাজনক সময়ে টানা ১৮ মাসের বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণে যেতে হয় তরুণদের।
তবে ২০২২ সালে আইন সংশোধন করে বিশেষ ক্ষেত্রে বয়সসীমা শিথিল করে ৩০ বছর করা হয়। এই ‘বিশেষ ক্ষেত্রের’ মধ্যে পড়েন বিটিএসের সদস্যরা।
বিটিএস মঞ্চে ফিরছে কবে: কেউ জানে, কেউ জানে না
‘লেফট-রাইট’ করে ফিরেছেন বিটিএসের আরএম ও ভি, কনসার্টের প্রতিশ্রুতি