ক্ষেপণাস্ত্র তত্ত্বাবধানের জন্য নতুন বাহিনী গঠন করবে পাকিস্তান

Google Alert – আর্মি

পাকিস্তান সেনাবাহিনী একটি নতুন বাহিনী গঠন করতে যাচ্ছে। বুধবার (১৩ আগস্ট) রাতে ইসলামাবাদে মে মাসে ভারতের সঙ্গে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘাত স্মরণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ‘আর্মি রকেট ফোর্স’ গঠনের ঘোষণা দেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

এই বাহিনী প্রচলিত যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ক্ষেপণাস্ত্র যুদ্ধ সক্ষমতা তত্ত্বাবধান করবে। ধারণা করা হচ্ছে, এই পদক্ষেপ প্রতিবেশী ও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে মোকাবিলা করার উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে শরিফ বলেন, এটি আধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে সজ্জিত হবে।

তিনি আরও বলেন, এই বাহিনী পাকিস্তান সেনাবাহিনীর যুদ্ধ সক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে এক মাইলফলক প্রমাণিত হবে। তবে তিনি বিস্তারিত আর কিছু জানাননি।

এক জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান, নতুন এই বাহিনী সেনাবাহিনীতে নিজস্ব কমান্ডের অধীনে থাকবে, যা কেবল প্রচলিত যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ক্ষেপণাস্ত্র পরিচালনা ও মোতায়েনের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত হবে।

তিনি বলেন, “এটি যে ভারতের জন্য, তা স্পষ্ট।”

১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতার পর থেকে এই দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে উভয় দেশই তাদের সামরিক সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে।

দুই দেশের মধ্যে সর্বশেষ উত্তেজনা দেখা দেয় গত এপ্রিলে, যখন ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে ২৬ বেসামরিক নাগরিক নিহত হন। ওই হামলার জন্য নয়াদিল্লি ইসলামাবাদকে দায়ী করে। তবে পাকিস্তান সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করে।

পরে মে মাসে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে, যা কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে তীব্র লড়াইয়ে রূপ নেয়। এতে দুপক্ষই ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ও যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে। একপর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেওয়ার মাধ্যমে লড়াইয়ের অবসান ঘটে।

ইসলামাবাদ যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতার কথা স্বীকার করলেও ভারত তা অস্বীকার করে। ভারতের দাবি, এটি সরাসরি দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যকার সমঝোতায় হয়েছিল।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *