Google Alert – সেনা
এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
টানা চারদিনের অবরোধের পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরছে পার্বত্য খাগড়াছড়ি। ‘জুম্ম ছাত্র-জনতা’ সংগঠনের পক্ষ থেকে সড়ক অবরোধ কর্মসূচি আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিতের ঘোষণার পর জেলার পরিস্থিতির উন্নতি দেখা যাচ্ছে।
আজ ১ অক্টোবর বুধবার সকালে কিছু দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল শুরু হয় এবং বাস কাউন্টারগুলোতে যাত্রীদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। শহর ও শহরতলীতে সীমিত আকারে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। পাশাপাশি চারদিন বন্ধ থাকার পর দোকানপাটও খুলতে শুরু করেছে।
স্কুলছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে অনির্দিষ্টকালের সড়ক অবরোধ করা হয়। তবে শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রতি সম্মান জানিয়ে এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেওয়া আট দফা দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাসের ভিত্তিতে অবরোধ স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সংগঠনের ফেসবুক পেজে জানানো হয়।
অবরোধ শিথিল হলেও খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় এখনও বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা বহাল রয়েছে। সেনা সদস্যদের পাশাপাশি বিজিবি ও পুলিশ টহল জোরদার করেছে। জেলা প্রশাসনের জারি করা ১৪৪ ধারাও কার্যকর রয়েছে।
এদিকে খাগড়াছড়ি ও গুইমারার সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনার তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি বলে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া তথ্য সম্পর্কে সিভিল সার্জন ডা. ছাবের এখনও নিশ্চিত করেননি। তিনি জানান, মেডিকেল রিপোর্ট পুলিশের মাধ্যমে আদালতে উপস্থাপন করা হবে।
অবরোধ চলাকালে ২৭ ও ২৮ সেপ্টেম্বর সংঘটিত সহিংসতায় খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় তিনজন নিহত হন এবং অনেকে আহত হন। গুইমারার রামসু বাজারসহ বহু দোকানপাট, বসতবাড়ি ও সরকারি অফিসে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি আব্দুল বাতেন মৃধা জানান, পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে এবং কোথাও অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটেনি।

