Google Alert – পার্বত্য অঞ্চল
নিজস্ব প্রতিবেদক
খাগড়াছড়ি মানিকছড়ি উপজেলার গাড়িটানা এলাকায় সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ অভিযান চালিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। অভিযানে স্থানীয় সন্ত্রাসী ইসমাইলকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তার কাছ থেকে দুইটি এলজি ও পাঁচ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। আরেক সন্ত্রাসী কংচাই মারমা পালাতে গিয়ে ছাদ থেকে লাফ দিলে মারা যায়।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) গতকাল শুক্রবার সকালে সেনাবাহিনীর একটি আভিযানিক দল বিশেষ অভিযান চালিয়ে ইসমাইলকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত ইসমাইল হোসেনের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক খাগড়াছড়ি জেলার শান্তিনগর এলাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী কংচাই মারমাকে আটক করার জন্য আরেকটি অভিযান পরিচালিত হয়। নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে কংচাই মারমা একটি তিনতলা ভবনের ছাদ থেকে নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে এক রাউন্ড গুলি ছোড়ে এবং পালানোর কোনো পথ না পেয়ে একপর্যায়ে ছাদ থেকে লাফ দেয় সে। সেনাবাহিনী কংচাই মারমাকে উদ্ধার করে দ্রুত স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চিকিৎসকদের ধারণা ছাদ থেকে লাফ দেয়ার ফলে তার মৃত্যু হয়েছে। এ সময় কংচাই মারমার আস্তানা থেকে একটি ৯ মিমি: পিস্তল, পাঁচটি এলজি, ২১টি কার্টুজ এবং ১৮টি পিস্তলের গুলি উদ্ধার করা হয়।
আইএসপিআর আরো জানান, কংচাই মারমার লাশ বর্তমানে ময়নাতদন্ত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
উল্লেখ্য, কংচাই মারমা দীর্ঘদিন ধরে খাগড়াছড়ি এলাকায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছিল। উক্ত সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে একাধিক অপহরণের অভিযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ এবং সন্ত্রাস দমনে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আইএসপিআর।