গাজাবাসীকে রাফাহ ক্যাম্পে স্থানান্তরের পরিকল্পনা ইসরায়েলের

চ্যানেল আই অনলাইন

গাজায় অবস্থিত সব ফিলিস্তিনিকে দক্ষিণাঞ্চলের একটি ক্যাম্পে স্থানান্তরের পরিকল্পনা করার জন্য সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

বুধবার (৯ জুলাই) ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম সূত্রে বিবিসির প্রক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ সোমবার সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, রাফাহ শহরের ধ্বংসাবশেষের ওপর একটি ‘মানবিক শহর’ প্রতিষ্ঠা করতে চান। শহরটি পুরো ২১ লাখ জনসংখ্যার জন্য হলেও সেখানে প্রাথমিকভাবে ছয় লাখ ফিলিস্তিনি বসবাস করতে পারবেন।

তিনি বলেন, নিরাপত্তা তল্লাশির পর মানুষজনকে এই শহরের ভেতরে আনার লক্ষ্য ছিল, যাতে নিশ্চিত হওয়া যায় তারা হামাসের কর্মী নয় এবং তাদের আর সেখান থেকে বের হতে দেওয়া হবে না।

যদি পরিস্থিতি অনুকূলে থাকে তাহলে ইসরায়েল ও হামাসের ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির সমঝোতা চেষ্টার সময় নির্মাণকাজ শুরু হবে। তবে ইসরায়েলি মানবাধিকার আইনজীবী মাইকেল স্ফার্ড এটিকে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য পরিকল্পিত অভিযান’ ছাড়া আর কিছুই নয় বলে নিন্দা জানিয়েছেন।

গার্ডিয়ান নিউজপেপারকে তিনি বলেন, জনগণকে যাতে এই উপত্যকার বাইরে নির্বাসনে পাঠানো যায় তারই প্রস্তুতির অংশ গাজার দক্ষিণ প্রান্তে জনগণকে স্থানান্তর।

এর আগে জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, অধিকৃত ভূখণ্ডের বেসামরিক জনগোষ্ঠীর নির্বাসন বা জোরপূর্বক স্থানান্তর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ এবং জাতিগত নির্মূলের সমতুল্য। তবে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ অথবা হামাসের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

সোমবার হোয়াইট হাউসে এক বৈঠকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবের বিষয়ে বলেন, যুদ্ধ পরবর্তী গাজা আমেরিকার দখলে নেওয়া উচিত এবং এর জনসংখ্যা স্থায়ীভাবে অন্যত্র পুনর্বাসিত করা উচিত।

নেতানিয়াহু বলেন, আমি মনে করি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের একটি উজ্জ্বল দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। এটাকে বলা হয় স্বাধীন পছন্দ। যদি মানুষ থাকতে চায়, তারা থাকতে পারে। কিন্তু যদি তারা চলে যেতে চায় তবে তাদের চলে যেতে পারা উচিত।

তিনি বলেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সাথে খুব নিবিড়ভাবে কাজ করছি এমন দেশগুলোকে খুঁজে বের করার জন্য যারা সবসময় যা বলে তা উপলব্ধি করবে-তারা ফিলিস্তিনিদের একটি উন্নত ভবিষ্যত দিতে চেয়েছিল।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, আশপাশের দেশগুলো থেকে আমরা দারুণ সহযোগিতা পেয়েছি। তাই ভালো কিছু ঘটবে।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *