গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে নিহত ৮৫

Google Alert – সেনাপ্রধান

ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় আরও রক্ত ঝরল।

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) টানা আক্রমণে অন্তত ৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের একটি স্টেডিয়ামে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোর ওপর বোমাবর্ষণে কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে। গাজার আল-আহলি স্টেডিয়ামটি যুদ্ধবিধ্বস্ত মানুষদের অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হচ্ছিল। সেই আশ্রয়কেন্দ্রেই রক্তাক্ত হত্যাযজ্ঞ চালায় ইসরায়েলি বাহিনী।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজা সিটিতে ভয় সৃষ্টির মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে জোরপূর্বক দক্ষিণের দিকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে ইসরায়েলি সেনাপ্রধান এয়াল জামির দাবি করেন, এটি নিরাপত্তার স্বার্থে নেওয়া পদক্ষেপ। অন্যদিকে জাতিসংঘের অনুসন্ধান কমিশন অভিযোগ করেছে- গাজায় দীর্ঘমেয়াদি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা ও পশ্চিম তীরে ইহুদি সংখ্যাগরিষ্ঠতা তৈরির লক্ষ্যেই এ অভিযান চলছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত অন্তত ৬৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আরও দেড় লাখের বেশি মানুষ আহত। হাজারো মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এদিকে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে গাজা নিয়ে উত্তপ্ত আলোচনা হয়েছে। ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, ‘শিশু হত্যাকারীরা মানবতার যোগ্য হতে পারে না।’ সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমাদ আল-শারআ যুদ্ধবিরতির জোর দাবি জানিয়েছেন।

নরওয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসপেন বার্থ আইদে জানিয়েছেন, নীরব কূটনৈতিক আলোচনায় অগ্রগতি হচ্ছে। আর মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফ দাবি করেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ২১ দফা শান্তি পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের পথে এগোচ্ছে।

তবে শান্তির যে কোনো উদ্যোগকেই বারবার নস্যাৎ করে দিচ্ছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। সম্প্রতি দোহায় হামাস নেতাদের ওপর হামলার নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এর আগে একতরফাভাবে যুদ্ধবিরতি ভেঙে গাজায় তীব্র বোমাবর্ষণ চালান তিনি। দুর্ভিক্ষ ও মানবিক বিপর্যয়ের জন্যও তাকে দায়ী করা হচ্ছে। এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত তার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।

এএডি/

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *