গাজায় ত্রাণ প্রবেশের দাবি জানালেন ৩৪১ ইসরায়েলি শিক্ষাবিদ

Google Alert – সেনা

৩৪১ জন বিশিষ্ট ইসরায়েলি শিক্ষাবিদ এবং অধ্যাপকের স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে। এতে ‘গাজায় সামরিক অভিযানের নৈতিক সীমা’ নির্ধারণের আহ্বান জানানো হয়েছে।

 

চিঠিতে লেখা হয়েছে, ৭ অক্টোবরের ক্ষত এখনও উন্মুক্ত এবং আমাদের ৫০ জন নাগরিককে হামাস অসহনীয় পরিস্থিতিতে আটকে রেখেছে। কিন্তু এই যন্ত্রণার চরমে, আমাদের কর্মকাণ্ড অন্যদের জন্য যে দুর্ভোগের কারণ তা উপেক্ষা করা যায় না।’’

 

স্বাক্ষরকারীরা পরিস্থিতিকে ‘গুরুতর মানবিক পতন’ হিসাবে বর্ণনা করে অবরুদ্ধ ছিটমহলে অবিলম্বে খাদ্য, পানি এবং চিকিৎসা সহায়তা প্রবেশের দাবি জানিয়েছেন।

 

‘‘গাজার মানবিক পরিস্থিতি বিপজ্জনক অবক্ষয়ের পর্যায়ে পৌঁছেছে। এই পথ অব্যাহত রাখলে তা কেবল উপত্যকার বাসিন্দাদের জন্যই নয়, আমাদের মূল্যবোধ এবং ইসরায়েলি সমাজের ভবিষ্যতের জন্যও অপূরণীয় ক্ষতির কারণ হবে। এগুলি নৈতিক ও মানসিক ক্ষত যা ভবিষ্যত প্রজন্মকে তাড়া করবে’’ আরও বলা হয় চিঠিতে।

 

ইসরায়েলি শিক্ষাবিদরা বলেন, আমরা সরকার, সেনাবাহিনী, মিডিয়া এবং সকল নাগরিকের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি: এটি আমাদের মূল্যবোধ পরীক্ষা করার একটি মুহূর্ত এবং মৌলিক মানবিক নীতিগুলিকে রাজনৈতিক বিতর্কের বিষয় হতে দেওয়া উচিত নয়। ইতিহাস আমাদের কর্মকাণ্ড… এবং আমাদের নীরবতা লিপিবদ্ধ করবে।

 

এদিকে, গাজার সরকারি গণমাধ্যম দপ্তর সতর্ক করে দিয়েছে, ইসরায়েল ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার কারণে অবরুদ্ধ উপত্যকা ‘একটি সত্যিকারের মানবিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি’ হচ্ছে।

 

এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘গাজা উপত্যকায় প্রতিদিন ৬০০ ট্রাক ত্রাণ এবং শিশুদের জন্য প্রতি মাসে আড়াই লাখ কার্টন ফর্মুলা প্রয়োজন। এর মূল সমাধান হল ক্রসিংগুলি খুলে দেওয়া এবং অবিলম্বে অবরোধ তুলে নেওয়া।

 

সূত্র: মিডল ইস্ট আই

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *