গাজায় যুদ্ধ বাড়ানোয় আপত্তি ইসরায়েলি সেনাপ্রধানের, চাপে নেতানিয়াহু

Google Alert – সামরিক

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু গাজায় সামরিক অভিযান আরও বাড়িয়ে ভূখণ্ডটি পুরোপুরি দখলে নেওয়ার যে পরিকল্পনা করেছেন, তার বিরোধিতা করেছেন ইসরায়েলি সেনাপ্রধান।

তিন ইসরায়েলি কর্মকর্তা একথা জানিয়েছেন। এতে গাজায় যুদ্ধ নিয়ে দেশে-বিদেশে ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে থাকা নেতানিয়াহুর ওপর চাপ আরও বাড়ল।

মঙ্গলবার তিন ঘণ্টার উত্তেজনাপূর্ণ এক বৈঠকে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর চিফ অব স্টাফ ইয়াল জামির প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে গাজা দখলের পরিকল্পনার বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন।

তিনি বলেন, গাজার অবশিষ্ট অংশ দখল করলে ইসরায়েলি বাহিনী সেখানে ফেঁসে যেতে পারে এবং জিম্মিদের জীবন হুমকির মুখে পড়তে পারে।

ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলছে, প্রায় দুই বছরের যুদ্ধে গাজার ৭৫ শতাংশ ইতোমধ্যেই তারা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিয়েছে।

গাজায় যুদ্ধ শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালের অক্টোবরে, যখন ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা দক্ষিণ ইসরায়েলে ঢুকে আক্রমণ চালায়।

তবে গাজায় এই যুদ্ধের সময়ে সামরিক শাসন চাপিয়ে দেওয়া, ভূখণ্ড দখল করা বা সেখানে ইহুদি বসতি পুনর্গঠনের জন্য ইসরায়েল সরকারের কিছু সদস্যের নীতি নিয়ে বারবারই আপত্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।

সম্প্রতি গাজায় সামরিক অভিযান আরও সম্প্রসারণের পরিকল্পনার খবর সত্য হয়ে থাকলে তা ‘গভীর উদ্বেগজনক’ বলে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘ।

দুই কোটিরও বেশি মানুষের এই ভূখণ্ডে কয়েক দফায় তাদের গৃহহীন হওয়া ও দুর্ভিক্ষের আশঙ্কায় মানবাধিকার সংস্থাগুলোর উদ্বেগ বাড়ছে।

ইসরায়েলি তিন করমকরতা জানান, আয়াল জামিরকে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, জিম্মি উদ্ধারে সেনাবাহিনী ব্যর্থ হয়েছে।এখন পর্যন্ত যেসব জিম্মি ছাড়া পেয়েছে, তা কূটনৈতিক পথেই সম্ভব হয়েছে।

নেতানিয়াহুর গাজায় সামরিক পরিকল্পনা নিয়ে বৃহস্পতিবার অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা রয়েছে।

চতুর্থ আরেকজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেছেন, নেতানিয়াহু হামাসের ওপর চাপ বাড়াতে গাজায় সামরিক অভিযান আরও বাড়াতে চান।

বুধবার বিরোধীদলীয় নেতা ইয়ার লাপিদ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ৪০ মিনিটের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের বলেন, ইসরায়েলের জনগণ আর যুদ্ধ চায় না। গাজার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়াটা খুবই বাজে ব্যাপার হবে।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *