গাজায় হাজার হাজার ভবন পরিকল্পিতভাবে গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ইসরায়েল

Google Alert – সামরিক

যেসব মানবাধিকার আইনজীবী বিবিসি ভেরিফাইয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন, তাদের মতে এই অভিযান যুদ্ধাপরাধের পর্যায়ে পড়তে পারে।

জেরুজালেমভিত্তিক ডায়াকোনিয়া ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যানিটারিয়ান ল’ সেন্টারের জ্যেষ্ঠ আইন বিশেষজ্ঞ ইতান ডায়মন্ড বলেন, সাধারণত যুদ্ধকালে বেসামরিক নাগরিক সুরক্ষার বিষয়ে প্রযোজ্য চতুর্থ জেনেভা কনভেনশনের আওতায় এর খুব একটা যৌক্তিকতা নেই।

“আন্তর্জাতিক মানবিক আইন অনুযায়ী যুদ্ধের সময় এমনভাবে বেসামরিক সম্পদ নিয়ন্ত্রিতভাবে ধ্বংস করাকে নিষিদ্ধ করে, কেবলমাত্র সামরিক অভিযানের প্রয়োজনীয়তার সংকীর্ণ শর্ত বাদে” বলেন ডায়মন্ড।

“ভবিষ্যতে কোনো সম্পত্তি হয়তো হামলার জন্য ব্যবহৃত হতে পারে – এমন অনুমানের ভিত্তিতে ধ্বংস করা এই নিয়মের আওতার বাইরে।”

অক্সফোর্ড ইনস্টিটিউট ফর এথিকস, ল’ অ্যান্ড আর্মড কনফ্লিক্টের সহ-পরিচালক অধ্যাপক জানিনা ডিল বলেন, কোনো দখলদার শক্তির ওই অঞ্চলের মানুষের কল্যাণে শাসন করতে হবে। এই নীতি সেসব সামরিক কৌশলের সঙ্গে সাংঘর্ষিক, যেখানে একটি অঞ্চলকে বাসযোগ্য রাখার বদলে সবকিছু ধ্বংস করে দেয়া হয়।

তবে কিছু বিশ্লেষক আইডিএফ-এর এই অভিযানকে সমর্থন করারও চেষ্টা করেছেন।

আইডিএফ যেসব ভবন ধ্বংস করেছে, সেগুলোর অনেকটাই আগেই গোলাবর্ষণ ও বিমান হামলায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের বেসা সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ-এর পরিচালক ও স্ট্র্যাটেজিক অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রণালয়ের সাবেক কর্মকর্তা অধ্যাপক ইতান শামির। তিনি বিবিসি ভেরিফাইকে বলেন, এই ভবনগুলো ফেরত আসা বেসামরিক লোকজনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ, বিশেষ করে “শীতকালে বৃষ্টির সময় এসব ভবন ধসে পড়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।”

অধ্যাপক শামির কৌশলগত উদ্বেগের দিকেও ইঙ্গিত করেন।

“এই এলাকা যুদ্ধক্ষেত্র,” তিনি বলেন। “আইডিএফ কোনো ভবনে ঢুকে সেটি সাফ করে ফেললেও যখন তারা বেরিয়ে আসে, তখন সন্ত্রাসীরা ফিরে এসে সেখানে বোমা পুঁতে রাখে বা লুকিয়ে থেকে গুলি চালায়।”

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *