Google Alert – আর্মি
গাজায় পৃথক ‘অপারেশনাল’ দুর্ঘটনায় তিন সেনা নিহত হয়েছে। এর মধ্যে দু’জন দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে ও উত্তর গাজার বেইত হানুন এলাকায় নিহত হন। তৃতীয়জনের মৃত্যুর কারণ এখনো তদন্তাধীন রয়েছে। দখলদার বাহিনী ‘অপারেশনাল’ ঘটনাগুলোর পর হতাহতের তথ্য প্রকাশ করেছে।
ইসরাইলি গণমাধ্যমের দাবি, খান ইউনিসে একটি সাঁজোয়া যান ট্যাঙ্ক-বিরোধী ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ধ্বংস হলে এক সৈন্য নিহত হয়। তার লাশ উদ্ধার করতে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা সময় লাগে। ইসরাইলি সামরিক সেন্সরশিপ এই ঘটনাকে গুরুতর বিবেচনা করে কড়া সংবাদ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
এর আগে, আল জাজিরাকে একটি সূত্র জানায় যে খান ইউনিসের উত্তরে একটি সামরিক ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে সঙ্ঘর্ষ চলা অবস্থায় ইসরাইলি হেলিকপ্টার অবতরণ করে।
ইসরাইলি মিডিয়া জানিয়েছে, বিমান হামলা, তীব্র উচ্চ-নিম্ন উচ্চতার বিমান চলাচল এবং ভারী কামান গোলাবর্ষণ হয়েছে। তারা আরো জানিয়েছে, একটি হেলিকপ্টার মধ্য খান ইউনিসে দু’টি লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে এবং শেষ মুহূর্তে গুলির শব্দ শোনা গেছে।
সূত্রটি জানায়, ঘটনাস্থলে এখনো সংঘর্ষ চলছে এবং মধ্য ও উত্তর খান ইউনিসজুড়ে ইসরাইলি বিমান হামলা ও কামান গোলাবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে।
বেইত হানুনের ঘটনা প্রসঙ্গে দখলদার বাহিনী জানায়, উত্তর গাজায় দু’টি ইঞ্জিনিয়ারিং যানবাহনের সঙ্ঘর্ষে এক সৈন্য নিহত হয়।
‘অপারেশনাল’ ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা
ইসরাইলি আর্মি রেডিও জানিয়েছে, ২৭ অক্টোবর ২০২৩ থেকে গাজায় স্থল অভিযান শুরুর পর ‘অপারেশনাল’ ঘটনায় ৭২ জন সৈন্য নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ৩১ জন নিজেদের সেনার গুলিতে নিহত হন।
রেডিও আরো জানিয়েছে, স্থল যুদ্ধের মোট ৪৪০ জন নিহতের মধ্যে ৭২ জন নিহত হয়েছে অপারেশনাল কারণে। এদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রের দুর্ঘটনা, নিজেদের সেনার গুলি, গোলাবারুদ বিস্ফোরণ এবং অভ্যন্তরীণ সঙ্ঘর্ষ অন্তর্ভুক্ত।
তথ্য অনুযায়ী, নিজেদের গুলিতে ৩১ জন, অস্ত্র ও গোলাবারুদ দুর্ঘটনায় ২৩ জন, সাঁজোয়া যান ধাক্কায় সাতজন এবং বন্দুকযুদ্ধে ছয়জন নিহত হয়েছে।
১৮ মার্চ গাজায় আক্রমণ পুনরায় শুরুর পর অভ্যন্তরীণ অভিযানকালে আরো দুই সৈন্য নিহত হয়। এ নিয়ে এ ধরণের ঘটনায় মোট নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩২, যা প্রায় ৬ শতাংশ।
ইসরাইলি সেনাবাহিনীর ওয়েবসাইট অনুসারে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ৮৮২ জন সৈন্য নিহত এবং ৬,০৩২ জন আহত হয়েছে।
এদিকে, ইসরাইলি আর্মি রেডিও জানিয়েছে, ১৮ মার্চ গাজায় যুদ্ধ পুনরায় শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ৩০ জন ইসরাইলি অফিসার ও সৈন্য নিহত হয়েছে, যার মধ্যে ২১ জন বিস্ফোরকের আঘাতে প্রাণ হারিয়েছে।
এই হামলাগুলো ৭ অক্টোবর ২০২৩ থেকে গাজা উপত্যকার ওপর দখলদারদের পরিচালিত গণহত্যার যুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর প্রতিক্রিয়ার অংশ।
সূত্র: আল জাজিরা