গাজার উপর যে ২১ শর্ত দিয়ে চুক্তি পেশ করলো ট্রাম্প!

Google Alert – সামরিক

গাজার উপর যে ২১ শর্ত দিয়ে চুক্তি পেশ করলো ট্রাম্প!

প্রতীকী ছবি

ট্রাম্প গাজার উপর ২১ পয়েন্টের একটি চুক্তি পেশ করেছে। যা মূলত গাজা যুদ্ধ শেষ করতে, জিম্মিদের ছাড়াতে এবং গাজা পুনর্গঠন করার প্রস্তাব। নিচে পয়েন্টসগুলো দিলাম, সাথে আমার নোটস।

১)  গাজা একটি উগ্রবাদমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত এলাকা হবে যা তার প্রতিবেশীদের জন্য কোনো হুমকি তৈরি করবে না।

২) গাজা পুনর্গঠিত হবে গাজার মানুষের উপকারের জন্য, যারা অনেক কষ্ট সহ্য করেছে।

৩) যদি দুই পক্ষ এই প্রস্তাবে সম্মত হয়, তাহলে যুদ্ধ অবিলম্বে শেষ হবে। ইসরায়েলি বাহিনী সম্মত সীমানায় ফিরে যাবে জিম্মি মুক্তির জন্য প্রস্তুতি নিতে। এই সময়ে সব সামরিক অভিযান, যেমন বিমান ও কামান হামলা, বন্ধ থাকবে এবং যুদ্ধরেখা অপরিবর্তিত থাকবে যতক্ষণ না সম্পূর্ণ পর্যায়ক্রমিক প্রত্যাহারের শর্ত পূরণ হয়।

নোট: যুদ্ধ অবিলম্বে থামলেও ইসরায়েলি সেনারা গাজা থেকে ধাপে ধাপে সরবে।

৪) ইসরায়েল এই চুক্তি প্রকাশ্যে গ্রহণ করার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হামাস সব জিম্মি, জীবিত এবং মৃত, ফিরিয়ে দিবে। (২০ জন জীবিত, বাকি মৃত)

৫) সব জিম্মি ফিরিয়ে দেওয়ার পর, ইসরায়েল ২৫০ জীবনদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দী এবং ১৭০০ গাজাবাসীকে মুক্তি দেবে যারা ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর আটক হয়েছে, যার মধ্যে সব নারী এবং শিশু অন্তর্ভুক্ত। প্রত্যেক ইসরায়েলি জিম্মির দেহাবশেষ ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ইসরায়েল ১৫ জন মৃত গাজাবাসীর দেহাবশেষ ফিরিয়ে দেবে।

৬)  সব জিম্মি ফিরিয়ে দেওয়ার পর, হামাসের সদস্যরা যারা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে প্রতিশ্রুতি দেবে এবং অস্ত্র ত্যাগ করবে, তাদের ক্ষমা দেওয়া হবে। হামাসের সদস্যরা যারা গাজা ছাড়তে চায়, তাদের নিরাপদ পথে গ্রহণকারী দেশে যাওয়ার সুবিধা দেওয়া হবে।

নোট : হামাস সদস্যদের সাধারণ অ্যামনেস্টি দেয়ার কথা বলা হলেও যারা অক্টোবর ৭ ঘটিয়েছে এবং যুদ্ধাপরাধ (war crimes) বা গুরুতর অপরাধ করেছে তাদের কথা  বলা হয়নি। তাদের জন্য বিশেষ ব্যতিক্রম (exceptions) থাকতে পারে। এই চুক্তিতে ইসরায়েল সেনাদের ওয়ার ক্রাইম করার বিচার বা তাদের অ্যামনেস্টি নিয়ে কোনও কথা বলা হয়নি। 

৭) এই চুক্তি গ্রহণ করার পর, পূর্ণ সাহায্য অবিলম্বে গাজায় পাঠানো হবে। সাহায্যের পরিমাণ কমপক্ষে ২০২৫ সালের ১৯ জানুয়ারির চুক্তির মতো হবে, যার মধ্যে অবকাঠামো পুনর্বাসন (পানি, বিদ্যুৎ, নর্দমা), হাসপাতাল এবং বেকারি পুনর্বাসন, এবং ধ্বংসাবশেষ সরানোর জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি অন্তর্ভুক্ত, প্রতিদিন ৬০০+ এইড ট্রাক।

 

নোট: এর অর্থায়ন মূলত সৌদি আরব, আরব আমিরাত, কাতার সহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে আসবে। 

৮) ইজরায়েল এবং ফিলিস্তিনি, দুই পক্ষের হস্তক্ষেপ ছাড়াই জাতিসংঘ, রেড ক্রিসেন্ট এবং নিরপেক্ষ সংস্থা বিনা বাধায় সাহায্য বিতরণ করবে। রাফাহ ক্রসিং দুই দিকে খোলা হবে ২০২৫ সালের ১৯ জানুয়ারির চুক্তির মতো একই প্রক্রিয়ায়।

৯)  অস্থায়ী ফিলিস্তিনি টেকনোক্র্যাট সরকার, মার্কিন নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক বোর্ড/আরব-ইউরোপীয় তত্ত্বাবধানে গাজার সরকার চলবে, যেখানে হামাসের কোনো ভূমিকা থাকবে না। এরপর  পিএ রিফর্ম করে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেবে। 

নোট: গাজা প্রথমে একটা অস্থায়ী (টেম্পোরারি) সরকার দিয়ে চালানো হবে, যা প্যালেস্টাইনি বিশেষজ্ঞ বা টেকনোক্র্যাটদের (যারা রাজনীতি না করে দক্ষতার ভিত্তিতে কাজ করবে) দিয়ে গঠিত হবে। এই সরকার দৈনন্দিন কাজকর্ম যেমন স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পানি-বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে।

এই স্থায়ী সরকারকে তত্ত্বাবধান করবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে একটা নতুন আন্তর্জাতিক সংস্থা (যেমন “Board of Peace”), যতক্ষণ না প্যালেস্টাইনি অথরিটি (PA) নিজেকে সংস্কার করে (যেমন দুর্নীতি কমিয়ে, শাসন উন্নত করে) এবং গাজার নিয়ন্ত্রণ নেয়। বোর্ড অফ পিস প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে. ট্রাম্পের নেতৃত্বে চলবে,  যাতে অন্যান্য সদস্য, যেমন সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার থাকবে। (কি এমন যাদু টনি ব্লেয়ারের যে তাকে রাখতেই হবে?) এরপর PA তৈরি হলে গাজার শাসনভার গ্রহণ করবে। (গুড লাক!!) এখানে গাজার লোকদের নিজেদের পছন্দ মতো সরকার বেছে নেয়ার বা ডেমোক্রেসি রাখা হয়নি। ( এই হামাসের হজম করতে কষ্ট হবে) 

১০)  ৫ বছরের পুনর্গঠনে  আন্তর্জাতিক/আরব বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করা হবে। 

নোট : গাজা পুনর্গঠনের জন্য ৫ বছরের পরিকল্পনা নেয়া হবে। যেখানে গাজাকে পুনর্নির্মাণ করার জন্য পরিকল্পনা বানাবে মধ্যপ্রাচ্যের আধুনিক শহর (যেমন দুবাই বা আবু ধাবির মতো) গড়ার বিশেষজ্ঞরা, যাতে বিশেষজ্ঞদের সাহায্যে গাজা একটা উন্নত ও সমৃদ্ধশালী জায়গা হয়ে উঠে।

 

১১)  গাজায় একটি অর্থনৈতিক জোন হবে , যাতে কম ট্যারিফ এবং সহজ প্রবেশাধিকার রাখার কথা আলোচনা করা হবে। 

১২) কাউকে গাজা ছাড়তে বাধ্য করা হবে না, এবং যারা ছাড়তে চায় তারা স্বাধীনভাবে যেতে পারবে এবং ফিরে আসতে পারবে। গাজানদের থাকতে উৎসাহিত করা হবে  এবং তাদের একটি ভালো গাজা তৈরির সুযোগ দেয়া হবে। 

১৩)  হামাসের শাসন শেষ; টানেল/অস্ত্র ধ্বংস; প্রতিবেশীদের সাথে শান্তি; আন্তর্জাতিক/আরব ফোর্স অস্ত্র সংগ্রহ করবে। 

নোট: হামাস এবং অন্যান্য অস্ত্রধারী গ্রুপ গাজার শাসনে কোনো ভূমিকা পাবে না—সরাসরি, পরোক্ষভাবে বা অন্য কোনো আকারে। গাজার সমস্ত আক্রমণাত্মক সামরিক অবকাঠামো, যেমন টানেল, অস্ত্র তৈরির কারখানা ধ্বংস করা হবে এবং এগুলো পুনর্নির্মাণ করা যাবে না। গাজাকে অস্ত্রমুক্ত (demilitarization) করার একটা প্রক্রিয়া চালু হবে, যা নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের তত্ত্বাবধানে হবে। এতে অস্ত্রগুলোকে স্থায়ীভাবে ব্যবহার অযোগ্য করে ফেলা হবে, এবং আন্তর্জাতিক অর্থায়নে অস্ত্র কেনা এবং লোকদের পুনর্বাসনের প্রোগ্রাম থাকবে। নতুন গাজা সম্পূর্ণভাবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং প্রতিবেশীদের সাথে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হবে। (এটা ইসরায়েলকেও করার দরকার ছিলো, যার কারণে এই চুক্তিকে আমি এক পাক্ষিক বললাম) 

১৪) আঞ্চলিক অংশীদারদের দিয়ে গ্যারান্টি দেওয়া হবে যাতে হামাস এবং গোষ্ঠীগুলো তাদের দায়িত্ব পালন করে এবং নতুন গাজা তার প্রতিবেশী বা মানুষের জন্য কোনো হুমকি তৈরি না করে।

নোট: আঞ্চলিক অংশীদার দেশগুলো (যেমন সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জর্ডান, মিশরসহ আরব দেশগুলো) নিরাপত্তা গ্যারান্টি দেবে, যাতে হামাস এবং গাজার অন্যান্য গ্রুপগুলো চুক্তির দায়িত্ব পালন করে। এর মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে যে গাজা থেকে ইজরায়েলের উপর কোনো হুমকি আসবে না। একই সাথে যদি আমেরিকা ইসরায়েলোক করো উপর আক্রমণের গ্যারান্টি দিতো তাহলে এই পয়েন্ট অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য আর দ্বিপাক্ষিক হত। কারন হামাস কেবল ইজরায়েলেই আক্রমণ করেছে, কিন্তু ইসরায়েল আক্রমণ করেছে আসে পাশের কমপক্ষে ৫ টি  দেশ। এইসব আক্রমণও বন্ধ হয় জরুরি। কিন্তু এই নিয়ে কোনও পয়েন্ট রাখা হয়নি চুক্তিতে। 

১৫)  যুক্তরাষ্ট্র,  আরব এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সাথে কাজ করবে একটি অস্থায়ী আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী (আইএসএফ) তৈরি করতে যা অবিলম্বে গাজায় মোতায়েন করা হবে। আইএসএফ গাজায় যাচাইকৃত প্যালেস্টাইনী পুলিশ বাহিনীকে প্রশিক্ষণ এবং সহায়তা দেবে, এবং জর্ডান এবং মিশরের সাথে পরামর্শ করবে যাদের এই ক্ষেত্রে ব্যাপক অভিজ্ঞতা আছে। এই বাহিনী দীর্ঘমেয়াদী অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সমাধান হবে। আইএসএফ ইসরায়েল এবং মিশরের সাথে কাজ করবে সীমান্ত এলাকা নিরাপদ করতে, নতুন প্রশিক্ষিত প্যালেস্টাইনী পুলিশ বাহিনীর সাথে। গাজায় অস্ত্র প্রবেশ রোধ করা এবং পুনর্গঠনের জন্য পণ্যের দ্রুত এবং নিরাপদ প্রবাহ সুনিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ। পক্ষগুলোর দিয়ে একটি ডিকনফ্লিকশন প্রক্রিয়া সম্মত করা হবে।

১৬)  ইসরায়েল গাজা দখল বা সংযোজন করবে না। আইএসএফ নিয়ন্ত্রণ এবং স্থিতিশীলতা স্থাপন করলে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) নিরস্ত্রীকরণের সাথে যুক্ত মানদণ্ড, মাইলফলক এবং সময়সীমা অনুসারে প্রত্যাহার করবে যা আইডিএফ, আইএসএফ, গ্যারান্টর এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্মত হবে, যার লক্ষ্য একটি নিরাপদ গাজা যা ইসরায়েল, মিশর বা তার নাগরিকদের জন্য আর হুমকি নয়। বাস্তবে, আইডিএফ ধাপে ধাপে তার দখলকৃত গাজা অঞ্চল আইএসএফ-কে হস্তান্তর করবে রূপান্তরকালীন কর্তৃপক্ষের সাথে চুক্তি অনুসারে যতক্ষণ না তারা গাজা থেকে সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে, শুধুমাত্র একটি নিরাপত্তা পেরিমিটার উপস্থিতি থাকবে যতক্ষণ না গাজা যেকোনো পুনরুত্থিত সন্ত্রাস হুমকি থেকে সুরক্ষিত হয়।

নোট: টু কনভ্যুলুটেড, এটা বাস্তবায়ন হবে না। আইডিএফ এখনকার মতোই তার দখল আর কন্ট্রোল চালিয়ে যাবে। হয়তো কয়েক মাইল সরবে।

 

১৭) হামাস না মানলে সন্ত্রাস-মুক্ত এলাকায় আন্তর্জাতিক ফোর্সকে হস্তান্তর করা হবে। 

নোট: যদি হামাস না মানে, তাহলে কিছু এলাকায় চুক্তি চালু করা হবে।

১৮) ইসরায়েল কাতারে হামলা না করার প্রতিশ্রুতি; দোহার মধ্যস্থতা স্বীকার। অর্থ: ইসরায়েল কাতারে আর হামলা করবে না এবং কাতারের ভূমিকা স্বীকার করবে।

১৯)  ডি-র্যাডিকালাইজেশনের জন্য আন্তর্ধর্মীয় সংলাপ, ইসরায়েল/গাজায় ন্যারেটিভ পরিবর্তন। 

নোট: ধর্মীয় সংলাপের মাধ্যমে উভয় দেশের চরমপন্থা দূর করা হবে। ইজরায়েলিদের গডস চোজেনপিপল সুপিরিয়রিটি কিছুতেই দূর করা যাবে না। এটা একটা ফালতু পয়েন্ট। 

২০) পুনর্গঠন আর সংস্কারের পর স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের চূড়ান্ত স্ট্যাটাস আলোচনা শুরু হবে।

 

নোট : সবকিছু ঠিক হলে এরপর ফিলিস্তিন স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের আলোচনা হবে । এটাও একটা ফালতু পয়েন্ট। এখনই টু স্টেট করে দিলে ভালো হত। যার যার দেশ, তার তার মাথা ব্যথা। তার তার নিরাপত্তা, তার তার দেশ গঠন। তাহলে আর ১-১৯ পয়েন্টের কোনও দরকারই হত না। ১-১৯ পয়েন্ট রেখে ফের স্ট্যাটাস কো তেই ফিরছে আমেরিকা-ইসরায়েল। 

২১) আমেরিকার সহায়তায় রাজনৈতিক সহাবস্থান এর ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সংলাপ চলবে। 

নোট: এটা আমেরিকার ইগোসেন্ট্রিক আতলাকি। একেবারেই ফালতু পয়েন্ট। 

ইসরায়েলের খুব খায়েশ ছিলো এবং এখনও আছে যে তারা ওয়েস্ট ব্যাংক সহ গাজা দখল করে নিবে। গতকাল ইজরায়েলের কেনেসেট ওয়েস্ট ব্যাংক দখলে নেয়ার বিল পাশ করেছে। ইজরায়েল কখনোই কোনও চুক্তি মানে না, এবারেও মানবে না। তারা তাদের দখলদারিত্ব চালু রাখবে। 

হামাস অনেকদিন থেকেই ক্ষমতা ছাড়তে রাজি, কিন্তু এর আগে তার অস্ত্র ছাড়তে রাজি ছিলো না, যা এই চুক্তির ওয়ান অফ দ্য প্রধান পয়েন্ট। এর উপর ইজরায়েল গাজা ছেড়ে গেলেও আগের মতন গাজার সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ করবে। তাই যাহাই কচু, তাহাই কলা। ফিলিস্তিনি সংগ্রামের দৃষ্টিকোণ থেকে এই চুক্তি একটা আপোষ যা প্রকৃত স্বাধীনতা দিচ্ছে  না। 

মিশর, জর্ডান, লেবানন, সৌদি আরব, পাকিস্তান এবং তুরস্কের মতো আটটা মুসলিম দেশ ট্রাম্পের প্রচেষ্টাকে শর্ত সাপেক্ষে সমর্থন করেছে। তারা শান্তি চুক্তি চূড়ান্ত করতে কাজ করবে বলেছে, কিন্তু পুরোপুরি সমর্থন না করে সতর্কতা দেখিয়েছে। তারা আরও সাহায্য, নো অ্যানেক্সশন এবং আল-আকসা মসজিদ রক্ষার দাবি করেছে। সামগ্রিকভাবে তাদের প্রতিক্রিয়া ইতিবাচক কিন্তু শর্তসাপেক্ষ। তাদের দাবী পূরণ না হলে তারা অসন্তুষ্ট হবে বা চুক্তি থেকে সরে যেতে পারে।

হামাস চুক্তিটি ইন গুড ফেইথ পর্যালোচনা করছে, কিন্তু তার এখনও অস্ত্র ছাড়তে পুরাপুরি রাজি নয়, এবং সেলফ ডিটারমিনেশনের কোনও প্রভিশন না থাকায় হয়তো সেটা নিয়ে বার্গেইনিং করবে। 

এত হাজার মানুষ মরার পরেও ফিলিস্তিন আগামী ৫ বছরেও স্বাধীনতা পাবে না, গাজার অবস্থা হবে আবারও মুক্ত আকাশের নিচে খোলা কারাগার। কিন্তু ইসরায়েলের চরিত্র সবার কাছে উন্মোচিত হয়েছে, যা তারা ফেরাতে এখন অনেক কার্যক্রম হাতে নিবে। কিন্তু পারবে না। তাছাড়া চুক্তির পয়েন্টগুলো ইসরায়েলের খায়েশেই লেখা হয়েছে কেবল গাজা আর ওয়েস্ট ব্যাংককে ছাড় দেয়া ছাড়া। কিন্তু এই যে মধ্যপ্রাচ্যের আরব দেশের টাকায় গাজা গড়া হবে, কিন্তু তা যখন তখন ইসরায়েল ধ্বংস করার ক্যাপাসিটি রক্ষা করছে তা আরবদেশগুলোরও হজম হবে বলে মনে হচ্ছে না, তাই তারা আরও গ্যারান্টি চাইছে আমেরিকা-ইসরায়েল থেকে, চাইছে আল-আকস মসজিদে সকল মুসলমানের নামাজের প্রবেশাধিকার। 

ওভার অল চুক্তিটি মোটামুটি এক পাক্ষিক, ইজরায়েলকে সব প্রকারের ছাড় দেয়া হয়েছে, কেবল জায়গা এনেক্সেশন ছাড়। আর হামাসকে পুরাপুরি নির্মূল করা হয়েছে। চুক্তি মেনে নিলে তাদের আর কোনও ভূমিকা থাকবে না গাজায, এটলিস্ট কাগজে কলমে।

(লেখকের ফেসবুক পেজ থেকে সংগৃহীত)

স্বদেশ প্রতিদিন/শাহো

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *