Google Alert – সেনাবাহিনী
গাজা উপত্যকার বাসিন্দাদের যুদ্ধক্ষেত্র থেকে সরিয়ে দক্ষিণাঞ্চলে স্থানান্তরের উদ্যোগ নিচ্ছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। শনিবার এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রবিবার থেকে তাঁদের তাঁবু ও অন্যান্য আশ্রয়সামগ্রী সরবরাহ করা হবে।
এ ঘোষণা আসে গাজা সিটিতে নতুন সামরিক অভিযানের পরিকল্পনার পরপরই। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেছেন, উত্তর গাজা সিটি দখলের জন্য সামরিক পরিকল্পনা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এরই মধ্যে গত এক সপ্তাহ ধরে গাজার জেইতুন ও শুজাইয়া এলাকায় ইসরায়েলি ট্যাংক ও বিমান হামলা জোরদার হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তাঁবু ও অন্যান্য সামগ্রী কেরেম শালোম সীমান্ত দিয়ে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলোর সহায়তায় প্রবেশ করানো হবে। তবে সেনাবাহিনী জানায়নি, প্রায় এক মিলিয়ন গাজা সিটি বাসিন্দার জন্য এসব আশ্রয়সামগ্রী বরাদ্দ কি না এবং তাঁদের দক্ষিণ গাজার রাফাহ অঞ্চলে নেওয়া হবে কি না।
জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক কার্যালয় (OCHA) উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, এ পদক্ষেপ বাস্তবায়ন হলে ভোগান্তি আরও বাড়বে। সংস্থাটি সতর্ক করে বলেছে, গাজার দক্ষিণাংশেও কোনো এলাকা নিরাপদ নয়।
এদিকে ফিলিস্তিনি জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদ এ পরিকল্পনাকে আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরায়েল আক্রমণের পর থেকে চলমান যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৬১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ওই হামলায় ইসরায়েলে ১,২০০ জন নিহত হয় এবং ২৫১ জন জিম্মি হয়, যার মধ্যে এখনো প্রায় ২০ জন জীবিত আছেন বলে ইসরায়েল দাবি করেছে।
ইসরায়েলের ভেতরে রবিবার যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির দাবিতে দেশজুড়ে বিক্ষোভ ও ধর্মঘট কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়, পৌরসভা ও বহু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ধর্মঘটে সমর্থন জানাবে।
সূত্রঃ রয়টার্স