প্রথম আলো
গতকাল শুক্রবার ছুটির দিনে বেলা তিনটায় দ্বারোন্মোচনের পর থেকেই বিপুল সংখ্যায় দর্শকেরা আসতে শুরু করেছিলেন। তাঁরা ঘুরে ঘুরে অভ্যুত্থানের রক্ত, মৃত্যু, প্রতিবাদ-প্রতিরোধের অগ্নিগর্ভ দিনগুলোর ঘটনাবলি ধরে রাখা আলোকচিত্র দেখেন। দেয়ালে ঝোলানো বিশালাকার এসব ছবির পাশে দাঁড়িয়ে ছবি ও সেলফি তুলেছেন।
ছবি ছাড়াও ছিল শহীদ আবু সাঈদ, মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ, নাঈমা সুলতানা, শাফিক উদ্দিন আহমেদ আহনাফ, মাহমুদুর রহমান সৈকত ও শিশু জাবির ইব্রাহীমের পরিচিতিসহ তাঁদের ব্যবহৃত বিভিন্ন সামগ্রী। দর্শকের অনেকে এসব স্মৃতি নিদর্শনের সামনে এসে আবেগে কেঁদেছেন।
আন্দোলন দমন করতে পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীর ব্যবহৃত প্রাণঘাতী বুলেটের খোসা, ছররা গুলি, কাঁদানে গ্যাসের সেল, গ্রেনেডের পিন—এসবও ছিল প্রদর্শনীতে। সেগুলো দেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী রাহনুমা আদনিন বললেন, ‘ছররা গুলি এই প্রথম দেখলাম, আর ছবিতে দেখলাম এসব গুলিতে কেমন করে ক্ষতবিক্ষত হয়েছেন আন্দোলনকারীরা।’ মা সানজিদা আক্তারের সঙ্গে সিদ্ধেশ্বরী থেকে আসা এই শিক্ষার্থী বললেন, গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে প্রদর্শনী ও বিদ্রোহে-বিপ্লবে প্রামাণ্যচিত্র যেন আন্দোলনের দিনগুলোতে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। ছবি, নিদর্শন, তথ্য—সবকিছু এখানে একসঙ্গে আছে। এটা প্রথম আলোর খুব ভালো উদ্যোগ।