Google Alert – সেনাবাহিনী
গির্জায় ভয়াবহ হামলা, নিহত ৩৮ জন
প্রকাশ: রোববার, ২৭ জুলাই, ২০২৫, ৮:০০ পিএম (ভিজিট : ১৫২)
প্রতীকী ছবি
ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব দ্য কঙ্গোর (ডিআরসি) ইটুরি প্রদেশের কোমান্ডা শহরে একটি ক্যাথলিক গির্জায় চালানো বর্বরোচিত হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৩৮ জন। আহত হয়েছেন আরও ১৫ জন। খবর আল জাজিরার।
আজ রবিবার (২৭ জুলাই) ভোররাতে হামলাটি চালায় সন্দেহভাজন অ্যালাইড ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এডিএফ) বিদ্রোহীরা, যারা ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে পরিচিত।
হামলার সময় গির্জাটিতে ক্যারিটাস চ্যারিটির উদ্যোগে প্রার্থনা সভা চলছিল। স্থানীয় মানবাধিকারকর্মী ক্রিস্টোফ মুয়ান্দেরু জানান, বিদ্রোহীরা গির্জায় রাতযাপনরত খ্রিস্টানদের লক্ষ্য করে সরাসরি হামলা চালায়। অনেককে দা দিয়ে কুপিয়ে কিংবা গুলি করে হত্যা করা হয়। একইসঙ্গে হামলাকারীরা আশপাশের কয়েকটি বাড়ি ও দোকানে আগুন লাগিয়ে দেয়।
ডিআরসি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জুলস নঙ্গো ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ভোরে কোমান্ডা শহরের কাছে এক গির্জায় সশস্ত্র হামলা চালানো হয়। স্থানীয় সিভিল সোসাইটি নেতারা জানিয়েছেন, গির্জার ভেতরে ও বাইরে নির্বিচারে গুলিবর্ষণের ফলে বহু মানুষ নিহত হন। ঘটনাস্থল থেকে পুড়ে যাওয়া তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
কোমান্ডা এলাকার সিভিল সোসাইটি সমন্বয়ক দিয়েডোনে দুরানথাবো বলেন, নিরাপত্তা বাহিনী উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও এত বড় ক্ষয়ক্ষতি আমাদের হতাশ করেছে।
তিনি আরও জানান, আতঙ্কে বহু মানুষ পাশের বুনিয়া শহরে পালিয়ে গেছেন।
উল্লেখ্য, ১৯৯০-এর দশকের শেষ দিকে উগান্ডায় কয়েকটি উগ্রপন্থি গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গঠিত হয় এডিএফ। পরে ২০০২ সালে উগান্ডার সেনাবাহিনীর চাপে তারা ডিআরসি-তে পাড়ি জমায় এবং সেখান থেকেই হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ২০১৯ সালে তারা আইএস-এর প্রতি আনুগত্য ঘোষণা করে। তাদের লক্ষ্য পূর্ব আফ্রিকায় একটি চরমপন্থি শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।
এডিএফ-এর বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে লড়াই চালিয়ে আসছে কঙ্গোর সেনাবাহিনী। তবে বর্তমানে রুয়ান্ডা-সমর্থিত এম২৩ বিদ্রোহীদের নতুন করে সক্রিয় হয়ে ওঠায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়েছে।
এমএইচটি