গুইমারায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগকারী ছাত্রীকে আক্রমণের চেষ্টা ও হুমকির অভিযোগ!

CHT NEWS

গুইমারা প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫

গুইমারা কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়ে জসিম উদ্দিন নামের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে
যৌন হয়রানির অভিযোগকারী এক পাহাড়ি ছাত্রীকে শারীরিকভাবে আক্রমণের চেষ্টা ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ
পাওয়া গেছে।

উল্লেখ্য, বিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্রীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২৮ জুলাই
২০২৫ গুইমারা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত শিক্ষক জসিম উদ্দিনকে অপসারণের
দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন এবং অভিভাবকদের পক্ষ থেকে প্রধান শিক্ষকের বরাবরে লিখিত
অভিযোগ দেওয়া হয়। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে
নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যায়।

ছাত্রীদের যৌন হয়রানি ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক জসিম উদ্দিন ও তাকে বিদ্যালয় থেকে নিরাপদে
গাড়িতে করে সরিয়ে নিয়ৈ যাচ্ছে সেনাবাহিনী, ২৮ জুলািই ২০২৫।


সেদিন অভিযোগকারী ছাত্রীদের কাছ থেকে প্রাথমিক তথ্য নেয়ার পর জসিম উদ্দিনকে
সাময়িক বরখাস্ত করা হয় এবং সেই ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের জন্য গুইমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার
আইরিন আকতার তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন। গতকাল (১৩ আগস্ট) তদন্ত
কমিটির প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি।

কিন্তু গতকাল বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে ৪ জন বাঙালি ছেলে অভিযোগকারী একজন
পাহাড়ি ছাত্রীকে শারীরিকভাবে আক্রমণের চেষ্টা ও হুমকি প্রদানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে
ওই শিক্ষার্থী কোন রকমে আক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারলেও পেছন থেকে বাঙালি ছেলেরা উচ্চস্বরে তাকে হুমকি
দিয়ে বলে যে, ‘জসিমের নামে করা অভিযোগ তুলে না নিলে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে।”

এ ঘটনার পর অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন করে ক্ষোভ ও উদ্বেগ দেখা
দিয়েছে। তারা মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন এবং হুমকি প্রদানকারীদের চিহ্নিত
করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।

এলাকার সচেতন মহল বলছেন, অভিযোগকারী শিক্ষার্থীদের আক্রমণের চেষ্টা ও হুমকি
প্রদান করে কার্যত প্রকৃত ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার
 চেষ্টা চলছে। উপজেলা
প্রশাসনের উচিত গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট জনসম্মুখে তুলে ধরা এবং অভিযোগকারী শিক্ষার্থীদের
নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া।


সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।


Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *