Google Alert – আর্মি
সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা হাজী সেলিমের মালিকানাধীন গুলশানারা মাসুদা টাওয়ারে অভিযান করেছে যৌথ বাহিনী।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর লালবাগ থানাধীন আজিমপুরে দায়রা শরীফ আবাসিক এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে টাওয়ারের আন্ডারগ্রাউন্ডের গোপন কক্ষে থাকা কোটি টাকা মূল্যের ৬টি বিলাসবহুল গাড়ি পাওয়া যায়। তবে শেষ পর্যন্ত গাড়িগুলো পার্কিংয়ে রেখেই অভিযান শেষ করেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।
এর আগে, সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আরিফুর রহমানের নেতৃত্বে অভিযান শুরু করা হয়। এতে তাকে সহযোগিতা এবং তার নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেন আজিমপুর ক্যাম্প-৪৬ ব্রিগেড (অজেয় চার) ও লালবাগ থানা পুলিশের সদস্যরা।
অভিযানে গুলশানারা মাসুদা টাওয়ারের আন্ডারগ্রাউন্ড পার্কিংয়ে একটি গোপন কক্ষে থাকা কোটি টাকা মূল্যের ৬টি বিলাসবহুল গাড়ি পাওয়া যায়। এর মধ্যে দুটি বিএমডব্লিউ (একটি সাদা, একটি লাল), একটি কালো নিশান পেট্রোল, একটি সাদা প্রোটন প্রাইভেটকার, একটি সাদা টয়োটা আইএসটি এবং একটি লাল টয়োটা রাস জিপ।
পার্কিংয়ে থাকা এসব গাড়ির মালিকানা পৃথকভাবে বিভিন্ন ব্যক্তির এবং প্রতিষ্ঠানের নামে নিবন্ধিত। এর মধ্যে হাজী সেলিমের নামে একটি, মদিনা ট্রেডিং নামে একটি গাড়ি, ইস্টার্ন ট্রেডিং নামে একটি গাড়ি, এমটিসি সিমেন্ট ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড নামে একটি গাড়ি, আরিফ মোরশেদ পাঠান নামে একটি এবং ফেরদৌস খান নামে একটি গাড়ি নিবন্ধন রয়েছে। এর মধ্যে একটি সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা হাজী সেলিম ব্যবহার করতেন।
তবে তাৎক্ষনিক এসব গাড়ির কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি ভবনের দায়িত্বে থাকা ম্যানেজার। এছাড়া কেন আলাদা রুমে গাড়ি লুকিয়ে রাখা হয়েছিল, তারও সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারেনি তিনি। ফলে অভিযানে শুরুতে গাড়িগুলো জব্দ করা হয় এবং ভবনের ম্যানেজারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আজিমপুর আর্মি ক্যাম্পে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যান জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। সেখানে তিন থেকে চার ঘণ্টা যাচাই-বাছাই শেষে ওই ভবনে এনে ম্যানেজারকে ছেড়ে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে গাড়িগুলোকে ভবনের পার্কিংয়ে রেখে অভিযান শেষ করেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আরিফুর রহমান।
সূত্র বলছে, প্রত্যেক গাড়ির বৈধ লাইসেন্স প্লেট রয়েছে। এছাড়াও বিআরটিএ থেকে নম্বর যাচাই করে রেজিস্ট্রেশন নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে গাড়িগুলোর ফিটনেস ও আইনি নথিও দেখাতে পারেনি গাড়ির মালিকপক্ষ। যেহেতু গাড়িগুলো ভবনের পার্কিংয়ে রাখা ছিল এবং কোনো অবৈধ জিনিসপত্র পাওয়া যায়নি। তাই তাৎক্ষণিকভাবে মামলা দায়ের করা হয়নি। তবে এগুলো রাস্তায় নামালে ট্রাফিক আইন অনুযায়ী মামলা বা জরিমানা হতে পারে বলে অভিযান সূত্রে জানা গেছে।
অভিযান শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেনি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আরিফুর রহমান। পরবর্তীতে মোবাইলে কল ও হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠানো হলেও তিনি কোনো সাড়া দেননি।