গোপালগঞ্জে এনসিপি সমাবেশে সহিংসতা নিয়ে যা জানালো তদন্ত টিম

চ্যানেল আই অনলাইন

গোপালগঞ্জে এনসিপির ১৬ জুলাইয়ের সমাবেশকে ঘিরে ঘটে যাওয়া সহিংসতার ঘটনাস্থলসমূহ সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গঠিত ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি।

আজ ১৩ আগস্ট বুধবার ও গতকাল মঙ্গলবার তারা জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান পরিদর্শন করেন। তদন্ত কমিটির সদস্যরা মঙ্গলবার সকালে গোপালগঞ্জে পৌঁছে সদর উপজেলার বৌলতলী, কংশুর, উলপুর, শহরের পুরাতন লঞ্চঘাট, জেলা কারাগার, এনসিপির সমাবেশস্থল পৌরপার্ক, জেলা প্রশাসকের বাসভবন এবং পুলিশ সুপারের কার্যালয় পরিদর্শন করেন।

সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তদন্ত কমিটির সদস্যরা জানান, সরকার আমাদের নির্দিষ্ট একটি এজেন্ডা দিয়েছে। সেই এজেন্ডার আওতায় থেকেই আমরা তদন্ত কাজ করছি। আমাদের কাজ হলো—কি ঘটেছে, আর কি ঘটেনি তা নিরপেক্ষভাবে যাচাই করে রিপোর্ট তৈরি করা। আমরা এই ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সুপারিশ করবো।

তারা আরও জানান, তদন্ত এখনো চলমান। বুধবার সারাদিনও তদন্ত কাজ অব্যাহত থাকবে এবং বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলা হবে।ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি। চাইলে আপনারাও তথ্য দিয়ে আমাদের সহায়তা করতে পারেন। তবে, তদন্ত এখনো গোপনীয় পর্যায়ে রয়েছে, তাই এ মুহূর্তে বিস্তারিত কিছু বলা সম্ভব নয়। বিষয়টি সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করবে।

পরিদর্শনকালে তাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান, পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমানসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এই সহিংসতার ঘটনায় গোপালগঞ্জ সদর থানায় মোট ১৫টি মামলা দায়ের হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একজন রমজান মুন্সির ভাই জামাল মুন্সি বলে জানা গেছে। তবে, তদন্ত কমিটি হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের স্থানসমূহ পরিদর্শন করলেও, সংঘর্ষে নিহত ৫ জনের বাড়ি বা মৃত্যুর স্থানগুলো পরিদর্শন করেননি।

প্রসঙ্গত, গত ১৬ জুলাই বুধবার গোপালগঞ্জ পৌরপার্কে এনসিপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে শহরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। সেনা ও পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে স্থানীয় জনগণের দফায় দফায় সংঘর্ষে ৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন এবং আহত হন আরও ২ জন। ঘটনায় ভাঙচুর করা হয় জেলা প্রশাসকের বাসভবন, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, জেলা কারাগার ও এনসিপির সমাবেশস্থল। আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয় মঞ্চ ও চেয়ারসহ বিভিন্ন সামগ্রী।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *