Google Alert – সশস্ত্র
ঢাকা: গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় গ্রেপ্তার অন্যতম আসামি স্বাধীন হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। ছিনতাইয়ের ঘটনার ভিডিও ধারণ করায় পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।
শনিবার (৯ আগস্ট) দুপুরে র্যাব-১ গাজীপুর ক্যাম্পে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানি কমান্ডার কে. এম. এ. মামুন খান চিশতী জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বাধীন হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
র্যাবের দাবি, তুহিন ছিনতাইয়ের একটি ঘটনার ভিডিও ধারণ করেছিলেন, যা মুছে ফেলতে চাপ দেওয়া হলেও তিনি অস্বীকৃতি জানান। এ কারণেই তাকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
র্যাব জানায়, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার গভীর রাতে মহানগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আজ শনিবার দুপুরে তাদের আদালতে তোলা হবে। এর আগে পুলিশ পাঁচজনকে আটক করে বাসন থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করে।
তুহিন হত্যার ঘটনায় শুক্রবার বাসন থানায় নিহতের বড় ভাই বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত ২০–২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এজাহারে বলা হয়, বৃহস্পতিবার রাতে চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় শাপলা ম্যানশনের সামনে বাদশা মিয়া নামে এক ব্যক্তি এক নারীকে মারধর করছিলেন। এ সময় কয়েকজন সশস্ত্র ব্যক্তি বাদশাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে।
ঘটনাটি ভিডিও করেন সাংবাদিক তুহিন। বিষয়টি জানতে পেরে হামলাকারীরা ভিডিও ডিলিট করতে বলেন। তুহিন নিজের পরিচয় দিয়ে তা মুছে ফেলতে অস্বীকৃতি জানান। পরে পাশের একটি মার্কেটের সামনে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়, এবং হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয় সাংবাদিক সমাজ ও বিভিন্ন সংগঠন এ হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে দ্রুত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে।
ওএফ