Google Alert – পার্বত্য চট্টগ্রাম
নারী ও পুরুষের অধিকারে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠায় বিভাগীয় অ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার চট্টগ্রামের জুবলী রোড়স্থ হোটেলে টাওয়ার ইন-এ এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবুল বাসার, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কামরুল পাশা ভুঁইয়া, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব ও দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার আঞ্চলিক সম্পাদক জাহিদুল করিম কচি।
প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ও জাগো ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট এর যৌথ উদ্যোগে বাস্তবায়িত সমতায় তারুণ্য প্রকল্পের আওতায় সভাটি আয়োজন করা হয়। সভায় উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ এর প্রতিনিধি জান্নাতুল মাওয়া বলেন, “আমরা বেশিরভাগ সময় দেখতে পাই, কোনো নারী সহিংসতার শিকার হলে তার পোশাককে দোষ দেওয়া হয়, তাহলে যারা পর্দা করার পরও ভিক্টিম হন, তাদের দোষটা কোথায়? এখানে কি পোশাক মূখ্য, নাকি নারী হওয়াটাই অপরাধ? আবার দেখি নারী নিজেই অন্য নারীর পাশে দাঁড়ান না বরং কাঁদা ছুড়াছুড়ি করেন। আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”
আরেকজন তরুণ স্যোশাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার তাফরিহা নূর বলেন, “আমাকে নারী হিসাবে নয়, একজন ব্যক্তি হিসাবে সকলে মূল্যায়ন করুক আমি এটাই চাই। মেয়েদের কোন সাফল্যের গল্পেও অনেক সময় মেয়েকে দুর্বল হিসাবে চিত্রায়ন করা হয়। গণমাধ্যমে নারীর গল্প তার ব্যক্তি মর্যাদা নিশ্চিত করেই যেন করা হয়।”
চট্টগ্রাম জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক কামরুল পাশা ভুঁইয়া বলেন, “সরকারের পক্ষ থেকে সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে সহিংসতার শিকার নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করা হয়। আমাদের সেফহোমের ব্যবস্থা আছে। আপনারা এই বিষয়ে কোনো সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলে অবশ্যই আমাদের পরামর্শ নিবেন।”
চট্টগ্রাম জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক, মোঃ আবুল বাশার বলেন, “তরুণরা আমাদের শক্তি। জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা রোধে আমাদের সকলকেই কাজ করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে। আপনারা কাজ করতে গিয়ে কোনো জটিলতায় পড়লে আমাদেরকে জানাবেন, আমরা সাধ্যমতো সহায়তা করব।”
বার্তা সংস্থা ইউএনবি’র জেলা প্রতিনিধি ও একাত্তর টেলিভিশনের চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান সাইফুল ইসলাম শিল্পী বলেন, “আগের তুলনায় সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে। তবে এখনো নারী পুরুষের বৈষম্য আছে। আসলে পরিবার থেকেই পিতামাতারা নিজ নিজ সন্তানদের ছেলে মেয়ে ভেদাভেদ না করে, সকলের সমান সুযোগ সৃষ্টি করলে সামাজিক বৈষম্য দূর করা সম্ভব।”
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব ও দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার আঞ্চলিক সম্পাদক এবং সিডিএ’র বোর্ড সদস্য জাহিদুল করিম কচি যুবদের স্থানীয় পেশাদার সাংবাদিকদের যুক্ত থাকার পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, “যুবরা সমাজের নানা শৃঙ্খল ভাঙতে বিদ্যমান স্টেরিওটাইপগুলো দূর করতে পারেন।”
নেদারল্যান্ডস সরকারের অর্থায়নে চার বছর মেয়াদি এই প্রকল্পটি বাংলাদেশের আটটি বিভাগে যৌথভাবে বাস্তবায়ন করছে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এবং জাগো ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট। সমাজে জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ এবং নেতিবাচক জেন্ডার ধারণাগুলোকে পরিবর্তনের লক্ষ্যে যুব ও যুব-নেতৃত্বাধীন সংগঠন, গণমাধ্যমকর্মী ও প্রতিষ্ঠান, স্যোশাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার, ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অংশীজনদের নিয়ে কাজ করছে প্রকল্পটি।
অ্যাডভোকেসি সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের বিভিন্ন যুব নেতৃত্বাধীন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী, স্যোশাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার ও কন্টেন্ট ক্রিয়েটর।
আর এইচ/