Google Alert – পার্বত্য চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে বন উজাড়ে বন বিভাগও দায় এড়াতে পারে না: পার্বত্য উপদেষ্টা
মো. সেলিম উদ্দিন খাঁন
চট্টগ্রামে বন উজাড়ে বন বিভাগ দায় এড়াতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। আজ শনিবার সকালে রাঙামাটি শহরের জিমনেসিয়াম মাঠে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ৭ দিনের বৃক্ষরোপন অভিযান ও বৃক্ষমেলা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতির বক্তব্যে এই উপদেষ্টা বলেন, ‘আশির দশকে পার্বত্য চট্টগ্রাম যে গাছ, বাঁশগুলো দাঁড়িয়ে ছিল, সেগুলো একটিও নেই। আশির দশক পরবর্তী পার্বত্য চট্টগ্রামের বনায়ন ধ্বংস হয়ে গেছে। বন নির্ভর কাপ্তাই কর্নফুলী পেপার মিলটি চালু করণের অবস্থা আমি দেখি না। তবুও আমি বলেছি চালু করা যায় কিনা দেখেন। অন্তত কিছু মানুষের হলেও কর্মসংস্থান হবে।’তিনি বলেন, ‘পাহাড়ে বনের এ অবস্থার জন্য এ এলাকার মানুষজন প্রত্যেকে কম বেশী দায়ী। এ ক্ষেত্রে বন বিভাগও কম দায়ী নয়।’
সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামের বাইরে মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী এমনটি সিলেটেও পার্বত্য চট্টগ্রামের চেয়ে বেশী বনভূমি দেখা যায়। সেখানে পার্বত্য চট্টগ্রাম বন কই? পার্বত্য চট্টগ্রামের এ অবস্থা হলো কেন?’
সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, ‘যেসব গাছ পরিবেশের জন্য ক্ষতি করছে সেটা নিয়ে একটা জরিপ করা দরকার। কোনো জরিপ ছাড়া কথা বলা হচ্ছে, কখনো জুম চাষ ক্ষতি, আদা হলুদ লাগানো যাবে না- এসমস্ত অনেক অবৈজ্ঞানিক কথা বলা হয়। শুধু বললে হবে না, এ থেকে উত্তোরণের পথও বের করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মো হাবিব উল্লাহর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদ, রাঙামাটি অঞ্চলের বন সংরক্ষক মোহাম্মদ আবদুল আউয়াল সরকার, রাঙামাটি সিভিল সার্জন ডা. নুয়েন খীসা, রাঙামাটি পুলিশ সুপার এম ফরহাদ হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা এসএম সাজ্জাদ হোসেনসহ অন্যান্য বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তারা। আগামী ৮ আগস্ট পর্যন্ত এ মেলা চলবে।