চট্টগ্রামে বায়েজিদ সড়কের সেতু ধসে যান চলাচল বন্ধ, তীব্র যানজট

Google Alert – পার্বত্য চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম নগরের ব্যস্ততম বায়েজিদ বোস্তামী সড়কে স্টারশিপ গলির মুখে শীতল ঝরনা খালের ওপর নির্মিত একটি সেতুর একাংশ ধসে পড়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর ছয়টার দিকে সেতুটি দুই ভাগ হয়ে যায়। ফলে ২ নম্বর গেট থেকে অক্সিজেনমুখী সড়কে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে পড়ে। বিকল্প এক পাশ দিয়ে সীমিত আকারে যান চলায় পুরো এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে

বায়েজিদ সড়কটি চট্টগ্রামের উত্তরাঞ্চল ও পার্বত্য এলাকার প্রবেশপথ হওয়ায় প্রতিদিন এই সড়ক ব্যবহার করেন হাজারো যাত্রী ও শ্রমিক। সেতু ধসের ফলে নাসিরাবাদ, ষোলশহর, হাটহাজারী, রাউজান ও খাগড়াছড়িগামী পরিবহন চলাচলে চরম ভোগান্তি দেখা দিয়েছে।

চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের শিক্ষক মনসুর নবী বলেন, “সকালে কলেজে যাওয়ার পথে দেখি সেতু ভেঙে গেছে। পরে জানতে পারি অতিবৃষ্টির কারণে কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।”

একই অভিযোগ করেন যাত্রী বেলায়েত হোসেন। তিনি বলেন, “জরুরি কাজে বের হয়ে দেখি সেতু ভেঙে আছে। অন্য পাশ দিয়ে যেতে গিয়ে যানজটে পড়তে হয়েছে।”

স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচারীরা জানান, সেতুটি বহুদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল। আগেই সংস্কার করলে আজকের এই দুর্ভোগ এড়ানো যেত। তারা দ্রুত নতুন সেতু নির্মাণ ও যান চলাচলের জন্য বিকল্প পথ চালুর দাবি জানিয়েছেন।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন জানিয়েছে, সাময়িকভাবে এক পাশ দিয়ে যান চলাচল সচল রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দ্রুত মূল সেতু পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু হবে।

সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী আনিসুর রহমান বলেন, “সেতুটি ১৯৮০ সালের দিকে নির্মিত হয়। খাল সম্প্রসারণের ফলে পানিপ্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় ইটের তৈরি পুরনো সেতুটি ধসে পড়ে। এটি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল এবং পুনর্নির্মাণ ছাড়া মেরামত সম্ভব নয়।”

চসিক সূত্র জানায়, সেতু সংস্কারে প্রায় ৫ কোটি টাকার প্রাক্কলন চূড়ান্ত করা হয়েছে এবং দরপত্র আহ্বানের প্রক্রিয়া চলছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্মাণকাজ শুরু করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

আর এইচ/


পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল চট্টগ্রামনিউজ.কমে লিখতে পারেন আপনিও।
লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, মতামত, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি ।
আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@chattogramnews.com ঠিকানায়।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *