Google Alert – পার্বত্য চট্টগ্রাম
গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে চট্টগ্রামে মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের ঝুঁকি বাড়ায় জেলা প্রশাসন ঝুঁকিপূর্ণ বসতি সরাতে শুরু করেছে মাইকিং এবং আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হওয়া ভারি বর্ষণ শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, আগের ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম নগরীতে ২২৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে, যা চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ।
অতি বর্ষণের ফলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং পার্বত্য তিন জেলা—রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে ভূমিধসের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একইসাথে ঢাকা ও চট্টগ্রামে কোথাও কোথাও জলাবদ্ধতা দেখা দিতে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর মো. আল আমিন হোসেন জানান, পাহাড়ঘেঁষা ঝুঁকিপূর্ণ বসতি থেকে লোকজনকে সরাতে মাইকিং এবং সরাসরি গিয়ে সচেতন করা হচ্ছে। আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা লোকজনের জন্য খাবারসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ফিরোজশাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বি ব্লক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও লালখান বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইতোমধ্যে আশ্রয়কেন্দ্র চালু করা হয়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ রাতেও ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ অব্যাহত থাকতে পারে। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশের অধিকাংশ অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
চট্টগ্রাম নগরীর লালখান বাজার, টাঙ্কির পাহাড়, বাটালি হিল, শান্তিনগর, সলিমপুরসহ একাধিক পাহাড়ঘেঁষা এলাকায় হাজারো পরিবারের ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসের তথ্য তুলে ধরে স্থানীয় প্রশাসন সতর্কতা জারি করেছে।
২০০৭ সালের ১১ জুনের ভয়াবহ পাহাড় ধসের স্মৃতি এখনও তাজা চট্টগ্রামবাসীর মনে, যেদিন প্রাণ হারান ১২৭ জন। সেই দুর্ঘটনার পরও পাহাড়ে বসতি গড়ার প্রবণতা কমেনি, বরং ২০২৩ সালের জেলা প্রশাসনের হিসাবে, সরকারি-বেসরকারি ২৬টি পাহাড়ে প্রায় ৬ হাজার ৫৫৮টি অবৈধ স্থাপনা রয়েছে।
নিম্নচাপের পরিস্থিতি ও সম্ভাব্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রশাসন সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
আর এইচ/;