চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার কেলেঙ্কারি: রাতের আঁধারে কিসমিস পাচারের চেষ্টা, আটক ৩

Google Alert – পার্বত্য চট্টগ্রাম

বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালে (এনসিটি) নিয়মবহির্ভূতভাবে কনটেইনার কিপডাউন করে কিসমিস পাচারের চেষ্টা ভেস্তে গেছে, বন্দর কর্তৃপক্ষ ও জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)-এর যৌথ অভিযানে। অভিযানে তিনজন পাচারকারীকেও আটক করা হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে। এনএসআই’র গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এনসিটি ডেলিভারি পয়েন্টে একটি অ্যাসাইনমেন্ট বহির্ভূত ও সিলবিহীন কনটেইনার থাকার তথ্য পেয়ে সেখানে অভিযান চালায় এনএসআই ও বন্দর নিরাপত্তা বিভাগ।

তল্লাশির এক পর্যায়ে কনটেইনারের পাশেই অবস্থানরত একটি কাভার্ডভ্যান তল্লাশি করে ভেতর থেকে পাওয়া যায় কিসমিস ভর্তি ৮৪টি কার্টন, যার ওজন আনুমানিক ৮৪০ কেজি।

বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, কনটেইনারটি ডেলিভারির জন্য নির্ধারিত ছিল না এবং পণ্যের সিলমোহর ছিল না। এটি নিয়মবহির্ভূতভাবে কিপডাউন করা হয় এবং গোপনে কাভার্ডভ্যানে লোড করে পাচারের চেষ্টা চলছিল।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, “আমদানি পণ্য পাচার এবং কনটেইনার কিপডাউনের মতো গুরুতর অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমরা বন্দরে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করছি এবং ভবিষ্যতেও তা বজায় থাকবে।”

এ ঘটনায় বন্দরের অভ্যন্তরে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর দায়িত্বহীনতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কাস্টমস, টার্মিনাল অপারেটর ও শিপিং এজেন্টদের ভূমিকাও তদন্তের আওতায় আনা হচ্ছে বলে সূত্রে জানা গেছে।

পাচারের পেছনে একটি সুসংগঠিত চক্র কাজ করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। কনটেইনারটি কার নামে আমদানি করা হয়েছিল, পণ্যের প্রকৃত ঘোষণা কী ছিল এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে এনএসআই, কাস্টমস এবং বন্দর কর্তৃপক্ষের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি।

আর এইচ/


পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল চট্টগ্রামনিউজ.কমে লিখতে পারেন আপনিও।
লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, মতামত, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি ।
আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@chattogramnews.com ঠিকানায়।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *