Google Alert – পার্বত্য চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রশাসনিক ভবনের সামনে লেখা হয়েছে ‘নিয়োগ বাণিজ্যের জমিদার ভবন’। কয়েকজন বামপন্থি শিক্ষার্থী ভবনের নামের লেখাটি মুছে দিয়ে নতুন এই নাম লিখে দিয়েছে সেখানে।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে ‘অধিকার সচেতন শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে এই নাম পরিবর্তন করেন তারা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চবি শাখা গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সংগঠক ধ্রুব বড়ুয়া, নারী অঙ্গনের সংগঠক সুমাইয়া শিকদার, শাখা বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি জশদ জাকির, বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলনের সংগঠক ঈশা দে, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুদর্শন চাকমা প্রমুখ।
কর্মসূচিতে চবি শাখা বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর আহ্বায়ক জশদ জাকির বলেন, “শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগ ও প্রশাসনের জবাবদিহিতায় কয়েকদিন ধরে আমরা আন্দোলন করে যাচ্ছি। এরই ধারাবাহিকতায় আজ (শনিবার) আমাদের গ্রাফিতি অঙ্কন ও দেওয়াল লিখন কর্মসূচি ছিল।”
তিনি বলেন, “আমরা জেনেছি, আজ প্রশাসনিক ভবনে নিয়োগ বাণিজ্য হয়েছে। এদিকে গতকাল (শুক্রবার) দেখেছি, একজন রাজনৈতিক নেতা নিজেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জমিদার বলছে। এজন্য আমরা প্রশাসনিক ভবনের নাম মুছে নিয়োগ বাণিজ্যের জমিদার ভবন লিখে দিয়েছি।”
চবি বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলনের সংগঠক ঈশা দে বলেন, “সংঘর্ষের ঘটনায় প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগসহ সাত দফা দাবিতে আজকে আমাদের কর্মসূচি ছিল প্রতিবাদী গ্রাফিতি অঙ্কন করা। প্রশাসনিক ভবনের নাম মুছে দিতে গেলে সহকারী প্রক্টর কোরবান আলী স্যার ঘটনাস্থলে এসে নাম পরিবর্তন না করার জন্য বলেন। তবুও আমরা নাম পরিবর্তন করে দিয়েছি।”
তিনি আরও বলেন, “যেদিন প্রশাসন তার সঠিক জায়গায় ফিরে আসবে, সেদিন এ নাম আমরাই মুছে দেব।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. কোরবান আলী বলেন, “আমি জানতে পেরে তাদের কাছে জিজ্ঞেস করতে গিয়েছিলাম, কেন তারা এটি করছে। তারা জানালো, প্রশাসন আমাদের কোনো কথা শুনেনি, তাই প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে তারা এটি লিখেছে। আমরা আর তাদের জোর করতে কিংবা বাধা দিতে পারব না।”
তিনি বলেন, “আমি তাদের কোনো বাধা দেয়নি। শুধু এটি না করতে অনুরোধ করেছি। এখন এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেটা ন্যায়সঙ্গত মনে হবে, সেটা করবেন।”